
৪৯তম বিসিএসের (বিশেষ) এমসিকিউ টাইপ লিখিত পরীক্ষার আসনবিন্যাস প্রকাশ করা হয়েছে। এতে পরীক্ষার্থীদের জন্য ১৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছে পিএসসি। সোমবার বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) মাসুমা আফরীন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ঢাকার ১৮৪ কেন্দ্রে তিন লাখের বেশি পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৪৯তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষা-২০২৫ এর এমসিকিউ টাইপ লিখিত পরীক্ষা আগামী ১০ অক্টোবর (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত শুধুমাত্র ঢাকা কেন্দ্রের ১৮৪টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। চলতি মাসের ২৬ অক্টোবর থেকে এ বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হতে পারে বলে পিএসসি জানিয়েছে।
পরীক্ষা সংক্রান্ত ১৩ দফা নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে, পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৮ (আট) ডিজিট সংবলিত। রেজিস্ট্রেশন নম্বরের ডিজিটসমূহ (সংখ্যাসমূহ) উত্তরপত্রের প্রযোজ্য ঘরে কালো কালির বল পয়েন্ট কলম দিয়ে লিখে নিচের প্রযোজ্য বৃত্ত ভরাট করতে হবে।
প্রতিটি উত্তরপত্রে সেট নম্বরের নির্ধারিত স্থানে সেট নম্বর এবং সেট নম্বরের জন্য নিচের সংশ্লিষ্ট বৃত্তটি মুদ্রিত থাকবে। কাজেই পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্রে সেট নম্বর লেখা এবং সেট নম্বরের বৃত্ত ভরাট করার প্রয়োজন হবে না। সকাল ১০টায় প্রশ্নপত্র প্রাপ্তির পর পরীক্ষার্থীরা তার প্রশ্নপত্রের সেট নম্বর এবং উত্তরপত্রের সেট নম্বর অভিন্ন কিনা তা চেক করে নিশ্চিত হবেন। প্রশ্নপত্র এবং উত্তরপত্রের সেট নম্বর অভিন্ন না হলে সাথে সাথে পরিদর্শককে অবহিত করতে হবে।
প্রবেশপত্রের নিচে মুদ্রিত নির্দেশনা অতি মনোযোগের সাথে পড়ে অনুসরণ করতে হবে। প্রশ্নপত্র বিতরণের পর পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত (দুপুর ১২টা) কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কক্ষ ত্যাগ করতে পারবেন না। পরীক্ষা কক্ষে পরিদর্শকবৃন্দ পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্রের ছবি, রেজিস্ট্রেশন নম্বর পরীক্ষা করবেন।
প্রবেশপত্রে উল্লিখিত রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং নাম ঠিকভাবে উত্তরপত্রের যথাস্থানে পরীক্ষার্থী লিখেছেন কিনা এবং পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র ও হাজিরা তালিকার ছবি অভিন্ন কিনা পরীক্ষান্তে তা নিশ্চিত হয়ে পরিদর্শক হাজিরা তালিকায় পরীক্ষার্থীর স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন এবং হাজিরা তালিকায় পরিদর্শকের জন্য নির্ধারিত স্থানে পরিদর্শক স্বাক্ষর করবেন।
কোনো পরীক্ষার্থীর ছবি, স্বাক্ষর, প্রবেশপত্র এবং উত্তরপত্রের নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের গরমিলসহ কোনরূপ অনিয়ম ধরা পড়লে উক্ত পরীক্ষার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরীক্ষায় অসদুপায় প্রতিরোধকল্পে পরীক্ষার্থীদের নিম্নোক্ত বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে অনুসরণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে:
পরীক্ষা কেন্দ্রে বই-পুস্তক, সকল প্রকার ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, সকল ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক কার্ড/ক্রেডিট কার্ড সদৃশ কোন ডিভাইস, গহনা ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বর্ণিত নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ কোন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে পারবেন না। পরীক্ষা হলের গেটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ নিষিদ্ধ সামগ্রী তল্লাশির মধ্য দিয়ে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে হবে।
পরীক্ষার দিন উল্লিখিত নিষিদ্ধ সামগ্রী সাথে না আনার জন্য সকল পরীক্ষার্থীর মোবাইল ফোনে এসএমএস প্রেরণ করা হবে। এসএমএস বার্তার নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীরা কানের ওপর কোন আবরণ রাখবেন না, কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোন ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শপত্রসহ কমিশনের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় নকল করলে বা মোবাইল ফোন বা কোন ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ প্রবেশ করলে এবং উক্ত প্রযুক্তির মাধ্যমে কোন অসদুপায় অবলম্বন করলে বা কোন অসদাচরণের জন্য দোষী সাব্যস্ত হলে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪ এবং বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন আইন, ২০২৩ এর ধারা-১০, ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ অনুযায়ী কোন অপরাধ সংঘটন করলে বা সংঘটনে সহায়তা করলে, তিনি যে ধারার অধীন অপরাধ সংঘটন করবেন বা সংঘটনে সহায়তা করবেন, সে ধারায় বর্ণিত দন্ডে দন্ডিত হবেন।
পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার হল পরিবর্তনের কোন আবেদন বিবেচনা করা হবে না। এ পরীক্ষায় ২০০টি এমসিকিউ প্রশ্ন থাকবে। পরীক্ষার্থী প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাবেন। তবে ভুল উত্তর দিলে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ০.৫০ (শূন্য দশমিক পাঁচ শূন্য) নম্বর করে কাটা হবে। পরীক্ষার জন্য পূর্ণ সময় দুই ঘণ্টা। প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন থেকে শ্রুতিলেখক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কমিশনের মনোনীত শ্রুতিলেখক ছাড়া অন্য কেউ শ্রুতিলেখক হিসেবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের জন্য শ্রুতিলেখকদের ক্ষেত্রে প্রতি ঘন্টার পরীক্ষার জন্য ১০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেয়া হবে এবং অন্যান্য প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে প্রতি ঘণ্টার পরীক্ষার জন্য ৫ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেয়া হবে। প্রবেশপত্র ব্যতীত কোন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
৪৯তম বিসিএসের (বিশেষ) এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা আগামী ২৬ অক্টোবর থেকে অনুষ্ঠিত হতে পারে। সুনির্দিষ্ট তারিখ ও সময় কমিশনের ওয়েবসাইট এবং সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম