ঘূর্ণিঝড় মেলিসার তাণ্ডবে বিধ্বস্ত জ্যামাইকা, কেড়েছে অর্ধশতাধিক প্রাণ

রোববার,

০২ নভেম্বর ২০২৫,

১৭ কার্তিক ১৪৩২

রোববার,

০২ নভেম্বর ২০২৫,

১৭ কার্তিক ১৪৩২

Radio Today News

ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, বহু নিখোঁজ

ঘূর্ণিঝড় মেলিসার তাণ্ডবে বিধ্বস্ত জ্যামাইকা, কেড়েছে অর্ধশতাধিক প্রাণ

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৩:৩৬, ১ নভেম্বর ২০২৫

আপডেট: ২৩:৩৭, ১ নভেম্বর ২০২৫

Google News
ঘূর্ণিঝড় মেলিসার তাণ্ডবে বিধ্বস্ত জ্যামাইকা, কেড়েছে অর্ধশতাধিক প্রাণ

পাঁচ মাত্রার ঘূর্ণিঝড় মেলিসার তাণ্ডবে ক্যারিবীয় অঞ্চলে অর্ধশতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জ্যামাইকায় এখনো বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছেন সাড়ে চার লাখেরও বেশি মানুষ। লণ্ডভন্ড হয়ে গেছে অনেক জনপদ। আর, কিউবার ৬০ হাজারের বেশি অবকাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এ অবস্থায় জরুরি সহায়তা দরকার ২০ লাখের বেশি মানুষের। 

মঙ্গলবার ক্যাটাগরি–৫ মাত্রার ঘূর্ণিঝড় হিসেবে জ্যামাইকায় আঘাত হানে মেলিসা। শুক্রবার পর্যন্ত স্থানীয়রা ক্ষয়ক্ষতির হিসাব ও পুনর্গঠনের দীর্ঘ পথের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, জ্যামাইকার ৬০ শতাংশ এলাকায় এখনো বিদ্যুৎহীন, আর প্রায় অর্ধেক পানি সরবরাহ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে।

ভয়াবহ এক ঝড়ের পর জ্যামাইকার মন্টেগো বে এলাকার সাগর এখন শান্ত। তবে আগের কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। চারপাশে শুধুই মেলিসার ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফিরে প্রথমেই খাবারের সঙ্কটে পড়েছেন জ্যামাইকার মানুষ। কোথায় যাবেন, কী খাবেন, কিছুই জানেন না তারা। 

জ্যামাইকার বহু মানুষের এখন জরুরি ভিত্তিতে সহায়তা দরকার। সবচেয়ে বেশি সঙ্কট নগদ অর্থ এবং পানির। এরইমধ্যে উদ্ধার ও ত্রাণকাজ শুরু করেছে সরকার। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় বেশ কম বলছেন, উপকূলবাসী। কোনো জ্বালানি পাচ্ছে না। তাতে অসন্তোষ বাড়ছে। 

মেলিসার পর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জ্যামাইকা বিমানবন্দরের কার্যক্রম। তবে বাণিজ্যিক ফ্লাইটগুলো সীমিত পরিসরে চালু করা হয়েছে। 

এদিকে, কিউবায় মেলিসার প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় আটকে পড়াদের উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী। তাদের সাথে হাত মিলিয়েছে রেডক্রসও। এরই মধ্যে দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ। ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। 

তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে সব সহায়তা দেয়া হবে। অন্যান্য অনেক দেশও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। বিশেষ করে জাতিসংঘ সহায়তা করছে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তহবিল গঠন করা হয়েছে। 

হাইতিতেও শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে পাওয়া যাচ্ছে মরদেহ। উদ্ধারকর্মীদের অভিযোগ, সরকারি সহায়তা তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। 

অন্যদিকে, মেলিসার কেন্দ্রের ফুটেজ প্রকাশ করেছে হারিকেন হান্টার গ্রুপ। বলা হচ্ছে, ১৯৮৮ সালের পর ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়। 

ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের এক গবেষণা অনুযায়ী, মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ ধরনের ঝড়ের সম্ভাবনা চারগুণ বেড়েছে। ঘূর্ণিঝড় মেলিসাকে এখন পর্যন্ত ক্যারিবীয় অঞ্চলের ইতিহাসে অন্যতম শক্তিশালী ঝড় হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের