রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আসন্ন ভারত সফর এবং ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত খুলে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার ও সাবেক পররাষ্ট্রসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন। শুধু শক্তি ও প্রতিরক্ষা খাতের মধ্যে এই সফরে আলোচনার ক্ষেত্র সীমাবদ্ধ থাকছে না, এর পাশাপাশি নতুন এবং পুরাতন অনেক ক্ষেত্রেও সম্প্রসারণ করা হবে।
দেশটির গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বৃহস্পতিবার (০৪ ডিসেম্বর) হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, ‘পুতিন প্রায় চার বছর পর আসছেন। তিনি সাত জন মন্ত্রীসহ একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আসবেন।
তাদের মধ্যে রয়েছেন—অর্থমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর। মূলত অর্থনৈতিক সহযোগিতার ওপর জোর থাকবে। আমরা আশা করি, ভারতীয় রপ্তানির জন্য রাশিয়া যথাযথ মনোযোগ দেবে, বিশেষ করে যেসব ক্ষেত্রে আগে আমাদের কার্যক্রম সীমিত ছিল।’
কৃষি ও সামুদ্রিক পণ্য, প্রকৌশল সামগ্রী, তথ্যপ্রযুক্তি সেবা, বিরল-প্রতিষ্ঠানীয় খনিজ সহযোগিতা, ভারতের মহাকাশ প্রকল্পের জন্য প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং রাশিয়ায় একটি ইউরিয়া কারখানা স্থাপনের সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কৃষি ও সামুদ্রিক পণ্য, প্রকৌশল সামগ্রী, তথ্যপ্রযুক্তি, রাশিয়ায় ইউরিয়া কারখানা, বিরল খনিজ ও মহাকাশ প্রযুক্তি স্থানান্তর—অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো ব্যাপক।
এটি ভালো যে আমরা আমাদের সম্পর্ককে শুধু শক্তি ও প্রতিরক্ষা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখছি না।’
পরস্পর লজিস্টিক সহায়তা বিনিময় (আরইএলওএস) চুক্তি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, যা দুই দেশকে একে অপরের বন্দর ও আকাশসীমা ব্যবহার করে যৌথ মহড়া ও প্রশিক্ষণ করার সুযোগ দেবে বলে নিশ্চিত করেন শ্রিংলা। আরইএলওএস চুক্তিটি এ বছর ফেব্রুয়ারি স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং সম্প্রতি রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিনের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে পৌঁছেছেন পুতিন।
তিনি দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের অংশ হিসেবে ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। ইউক্রেন সংঘাতের পর এটি তার প্রথম ভারত সফর। তিনি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সর্বশেষ ভারত সফর করেছিলেন।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

