ট্রাম্পের আপত্তি সত্ত্বেও ভারতকে নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানি দেবে রাশিয়

শনিবার,

০৬ ডিসেম্বর ২০২৫,

২১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

শনিবার,

০৬ ডিসেম্বর ২০২৫,

২১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

Radio Today News

ট্রাম্পের আপত্তি সত্ত্বেও ভারতকে নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানি দেবে রাশিয়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩:৩৯, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫

Google News
ট্রাম্পের আপত্তি সত্ত্বেও ভারতকে নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানি দেবে রাশিয়

রাশিয়ার কাছে থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা বন্ধে ভারতকে চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মাঝেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্টে ভ্লাদিমির পুতিন বললেন, তাঁর দেশ নয়াদিল্লিকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে জ্বালানি সরবরাহ করতে প্রস্তুত।

শুক্রবার নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ভ্লাদিমির পুতিন এমন ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, দুই নেতার মধ্যে আলোচনা বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বক্তব্যের শুরুতে ভ্লাদিমির পুতিন উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। পরে উল্লেখ করেন, ‘ভারত-রাশিয়ার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সংলাপ আছে, এটি ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে।’ এরপর পুতিন দুই দেশের মধ্যে হওয়া গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিগুলোর প্রসঙ্গ তোলেন।

ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুতিন পারমাণবিক জ্বালানির কথা উল্লেখ করেছিলেন। মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর দেওয়া বিবৃতিতেও তিনি বলেন, তামিলনাড়ু রাজ্যে রাশিয়া ভারতের সর্ববৃহৎ নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণ করছে। ছয় ইউনিটের মধ্যে দুটি এরই মধ্যে গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। চারটি নির্মাণাধীন। সেগুলো চালু হলে ভারতের জ্বালানি চাহিদায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

সফরে দুই দেশের মধ্যে হওয়া আলোচনায় রাশিয়া সন্তুষ্ট বলেও যৌথ সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন পুতিন। আর নরেন্দ্র মোদি বলেন, নানা সংকটের মধ্যেও ভারত-রাশিয়ার বন্ধুত্ব নক্ষত্রের মতো স্থির অবস্থায় আছে। 

সবকিছু বাণিজ্যকেন্দ্রিক
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দুই নেতা যখন তাদের বিবৃতি পড়ে শোনান তখন বড় কোনো চুক্তির প্রসঙ্গ সামনে আসেনি। বিশেষ করে যুদ্ধবিমান বা প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত। যেগুলো সামনে এসেছে সেগুলো মূলত বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে, জাহাজ নির্মাণ, উত্তর মেরু অঞ্চলে কাজের জন্য ভারতীয় নাবিকদের প্রশিক্ষণ, নৌপথে বিনিয়োগ ও সিভিল নিউক্লিয়ার এনার্জি।

বিবৃতি পড়ার সময় পুতিন বলেন, ‘বর্তমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৬০ বিলিয়ন ডলারের বেশি রাখা সম্ভব। ভবিষ্যতে এটি ১০০ বিলিয়নে উন্নীত করা যাবে।’ এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, দুই দেশের বর্তমান বাণিজ্য মূলত ছাড় মূল্যে অপরিশোধিত তেল কেনার ওপর নির্ভরশীল। তবে এরই মধ্যে কিছু ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মেনে তেল আমদানি কমাতে শুরু করেছে।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের