বৃহস্পতিবার,

২৫ এপ্রিল ২০২৪,

১২ বৈশাখ ১৪৩১

বৃহস্পতিবার,

২৫ এপ্রিল ২০২৪,

১২ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

প্রধান শিক্ষিকার টিকটক ভিডিও নিয়ে তোলপাড়

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২:২৪, ৮ এপ্রিল ২০২২

Google News
প্রধান শিক্ষিকার টিকটক ভিডিও নিয়ে তোলপাড়

ছবি সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার মিরপুরে মাধ্যমিক স্কুলের এক প্রধান শিক্ষকের টিকটক কান্ড নিয়ে তুমুল হৈচৈ পড়ে গেছে। বিতর্কের মুখেপড়ে অনুতপ্ত ওই শিক্ষিকা দু:খ প্রকাশ করেছেন। 

জানা গেছে, কষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ওই প্রধান শিক্ষকের নাম দিলারা ইয়াসমিন জোয়ার্দ্দার। সম্প্রতি তার একাধিক টিকটক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যাতে দেখা গেছে বাংলা ও হিন্দিগানের সঙ্গে তুমুল নাচছেন তিনি। এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন বিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তিনি চার মাস আগে এ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন।

এর আগে তিনি ঝিনাইদহের শৈলকূপা পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ওই বিদ্যালয়ে থাকাকালে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ঘটনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোরের বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে চাকরি থেকে চূড়ান্ত বরখাস্ত করা হয়।

প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিনের ভাইরাল হওয়া একাধিক টিকটক ভিডিওতে দেখা গেছে, বিভিন্ন বাংলা ও হিন্দি গানের তালে নানা অঙ্গভঙ্গিতে নাচ করছেন তিনি। এর মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে কলকাতায় ভাইরাল হওয়া ভুবন বাদ্যকরের গাওয়া ‘কাঁচা বাদাম’ গানের টিকটক ভিডিও রয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, প্রধান শিক্ষকের টিকটক করা একটি ভিডিও আমিও দেখেছি। স্কুলের এক শিক্ষার্থীই আমাকে ভিডিওটি দেখিয়েছেন। দেখে চরম বিব্রত হয়েছি। তিনি কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণ করেছেন। শিক্ষার্থীদের সামনে লজ্জায় কোনো কথাই বলতে পারছি না। অন্যান্য বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আমাদের নিয়ে হাসাহাসি করছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন জোয়ার্দ্দার বলেন, আমার মতো অনেকেই তো টিকটক করে। তাদের টিকটক তো সামনে আসে না। তাহলে আমারটা নিয়ে এত সমালোচনা কেন? এমনটি বলেই তিনি কলটি কেটে দেন। এরপর থেকে তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

এ বিষয়ে তালবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আরিফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নজরে এসেছে। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি ভুল স্বীকার করেছেন। তিনি অনুতপ্ত। এরপর এমনটি আর হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে একজন শিক্ষক হয়ে টিকটক ভিডিও বানানো তার উচিত হয়নি।

সচেতন নাগরিক কমিটির কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি রফিকুল আলম টুকু বলেন, শিক্ষকতা একটি মহান পেশা। শিক্ষার্থী ও সমাজের মানুষ তাদের অনুসরণ করেন। মাধ্যমিক পর্যায়ের একজন প্রধান শিক্ষকের এমন টিকটক ভিডিও বানানোকে সমাজের অবক্ষয় ছাড়া আর কিছুই বলা যাবে না।

মিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জুলফিকার হায়দার বলেন, বিষয়টি এখনো নজরে আসেনি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।

মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল কাদের বলেন, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রেডিওটুডে নিউজ/এমএস

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের