![সহকর্মীকে গুলি করে হত্যা: কাউসারকে ‘মানসিক রোগী’ বলছে পরিবার সহকর্মীকে গুলি করে হত্যা: কাউসারকে ‘মানসিক রোগী’ বলছে পরিবার](https://www.radiotodaynews.com/media/imgAll/2023May/56c377b6a9907eab8f54250f79fe44ac-1-2406091924.jpg)
রাজধানীর বারিধারায় কূটনৈতিকপাড়ায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে পুলিশের কনস্টেবল মনিরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করেছেন তারই সহকর্মী কাউসার আলী। ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে এ হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকতে পারে পুলিশ কর্মকর্তাদের ধারণা। তবে কাউসারের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, চাকরিরত অবস্থায় প্রায় ১৪ বছর ধরে মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন। তিনি সরকারিভাবে হাসপাতালে গিয়ে মানসিক রোগের চিকিৎসাও নিয়েছেন।
কাউসার আলীর বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলা সদর ইউনিয়নের দৌলতখালী দাড়ের পাড়া এলাকায়। আজ রোববার দুপুরে তাঁর গ্রামের বাড়িতে গেলে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানান, মানসিক সমস্যা হলে তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কম কথা বলতেন। গেল কয়েক দিনও কম যোগাযোগ করেছেন।
বেলা আড়াইটার দিকে সরেজমিনে ওই গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, পরিবারের সদস্যরা স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করছেন। তাঁদের কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা যায়নি। বাড়ির ভেতরে মা ও স্ত্রী বসেছিলেন ও তাঁর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়াত আলীর মাস্টার অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় শুয়ে আছেন। কাউসারের দুই ছেলে সন্তানও ছিল বাড়িতে। তারা দুজন স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম ও অষ্টম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসীরা জানান, ২০০৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর পুলিশের চাকরিতে যোগদান করেন কাউসার। ২০১০ সালের দিকে প্রথম মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়। পরে তাঁকে সরকারিভাবে কয়েকবার পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। চাকরি করা অবস্থায় বেশ কয়েকবার অসুস্থ হলেও চিকিৎসা করানো হয়। তবে পারিবারিকভাবে কোনো সমস্যা ছিল না বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
এমএমএইচ/রেডিওটুডে