দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরে জনগণের উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একই সঙ্গে প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বানকে গুরুত্ব দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।
ফেসবুক বার্তায় তিনি বলেন, প্রিয় বাংলাদেশের বন্ধুরা, বোনেরা ও ভাইয়েরা—গত বৃহস্পতিবারের দিনটি সারা জীবনের জন্য আমার হৃদয়ে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর আমি আবার আমার মাতৃভূমির মাটিতে পা রেখেছি। আপনাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা, ঢাকার রাস্তাজুড়ে মানুষের ঢল আর লাখো মানুষের দোয়া—এই মুহূর্তগুলো আমি কোনো দিন ভুলতে পারব না।
দেশে ফেরাকে ঘিরে প্রাপ্ত ভালোবাসা ও সম্মানের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। সব প্রতিকূলতার মাঝেও যারা পাশে ছিলেন এবং আশা হারাননি, তাদের সাহসই তাকে প্রতিনিয়ত শক্তি জোগায় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
নাগরিক সমাজ, তরুণ প্রজন্ম, পেশাজীবী, কৃষক ও শ্রমিকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, আপনারাই আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন—বাংলাদেশ তখনই সবচেয়ে শক্তিশালী হয়, যখন এ দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকে।
এছাড়া ঐতিহাসিক এই প্রত্যাবর্তনের মুহূর্তটি দায়িত্বশীলতার সঙ্গে দেশ-বিদেশে তুলে ধরার জন্য গণমাধ্যমের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। একই সঙ্গে নিরাপত্তা ও শান্তি নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সেবার গুরুত্বও তুলে ধরেন।
অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ যারা তার দেশে ফেরাকে স্বাগত জানিয়েছেন, তাদের প্রতিও ধন্যবাদ জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, গণতন্ত্র, বহুদলীয় সহাবস্থান ও জনগণের অদম্য ইচ্ছাশক্তির প্রতি জোর দেওয়ার যে আহ্বান এসেছে, তা তিনি বিনয় ও সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করছেন।
তারেক রহমান বলেন, আমি শুধু কোনো স্বপ্নের কথা বলিনি; আমি বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি বাস্তব পরিকল্পনার কথা বলেছি—যে বাংলাদেশে শান্তি ও মর্যাদা থাকবে, যেখানে প্রতিটি মানুষ নিজেকে নিরাপদ ও সম্মানিত মনে করবে, আর প্রতিটি শিশু আশার আলো নিয়ে বড় হবে।
তিনি আরও বলেন, এই পরিকল্পনা সব বাংলাদেশির জন্য—একটি ঐক্যবদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের জন্য, যেখানে সবাইকে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
শেষে দেশে ফিরে আসার সময় তাকে বরণ করে নেওয়ার জন্য আবারও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি দোয়া করেন, আল্লাহ বাংলাদেশকে এবং আপনাদের সবাইকে সবসময় তাঁর রহমতে রাখুন।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

