শুক্রবার,

২৬ এপ্রিল ২০২৪,

১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শুক্রবার,

২৬ এপ্রিল ২০২৪,

১৩ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

নিলামে উঠছে মোগল আমলের বিরল দুটি চশমা

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২২:১২, ২৬ অক্টোবর ২০২১

আপডেট: ০৪:৪১, ২৭ অক্টোবর ২০২১

Google News

মুঘল আমলে তৈরী হিরা আর পান্না দিয়ে বানানো দুটি চশমা। ২০০ ক্যারাটেরও বেশি ওজনের হিরের খণ্ড এবং ৩০০ ক্যারাটের পান্না থেকে কাটা হয়েছে চশমার কাচ! এই রাজকীয় চশমা দুটি নিজের করে নেওয়া সুযোগ করে দিচ্ছে নিলাম আয়োজনকারী প্রতিষ্ঠান সোথবিস।

হিরের চশমাটির নাম আলোর বলয়, আর পান্নার চশমাটির নাম স্বর্গদুয়ার। যদিও ১৬তম বা ১৭তম শতকে এই চশমা কোন মোগল বাদশা গড়ার অনুমতি দিয়েছিলেন, স্পষ্ট নয়। কিন্তু সে সময় মোগল সম্রাট বা শাহজাদাদের মর্যাদার প্রতীক ছিল চশমা। আর তাই আকবর থেকে আওরঙ্গজেব, যে কেউই হতে পারেন। হতে পারে শাহজাহানেরও।

শোনা যায়, স্ত্রী মমতাজ মহলের মৃত্যুর পর বাদশা নাকি এতই চোখের জল ফেলেছিলেন, তাতে কমে গিয়েছিল দৃষ্টিশক্তি। ফলে সে সময় তার চোখের চিকিৎসার জন্য পান্নার প্রয়োজন হয়েছিল।

সোথবিস মধ্যপ্রাচ্য ও ভারতের চেয়ারম্যান এডওয়ার্ড গিবস বলেছেন, এই অসাধারণ কারুশিল্প আগে কখনো দেখা যায়নি। হীরা এবং পান্না কেটে বানানো হয়েছে এই চশমা। রত্নগুলোর মান এবং বিশুদ্ধতা অনন্য আর এই আকারের পাথর যে কোনো সম্রাটেরই সংগ্রহ তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ২৭ অক্টোবর লন্ডনের সোথবিস নিলাম হাউজে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই নিলাম।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ১৮৯০ এ রোজ কাট ডায়মন্ডে সাজানো নতুন ফ্রেম বসে চশমাগুলোয়। হিরেগুলো নাকি গোলকোন্ডার খনির। আর পান্নার উৎস কলম্বিয়ার মুসো খনি।

তাই তো সাধারণ চশমায় দৃষ্টি শুধরে গেলেও, এই চশমায় উন্নতি হবে মনের চোখেরও। হিরে উদ্ভাসিত করবে অন্তরকে, আর আরোগ্য সাধন ও অশুভ নিবারণের আশ্চর্য ক্ষমতা রয়েছে পান্নায়। নিলাম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ধরনের চশমার নমুনা আগে প্রাচীন রোমান সাম্রাজ্যে ব্যবহারের কথা শোনা যায়। রোমান সম্রাট নিরো মূল্যবান সবুজ পাথরের চশমা পরে গ্লাডিয়েটরদের যুদ্ধ দেখতেন।

রেডিওটুডে নিউজ/এসএস/ইকে

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের