বৃহস্পতিবার,

০৭ আগস্ট ২০২৫,

২৩ শ্রাবণ ১৪৩২

বৃহস্পতিবার,

০৭ আগস্ট ২০২৫,

২৩ শ্রাবণ ১৪৩২

Radio Today News

মুরগির যে ১০ অংশ কখনোই খাওয়া উচিত নয়

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৫:১৪, ৭ আগস্ট ২০২৫

Google News
মুরগির যে ১০ অংশ কখনোই খাওয়া উচিত নয়

প্রাণীজ আমিষের অন্যতম প্রধান উৎস হলো মুরগির মাংস। কিন্তু মুরগির সব অংশ আপনার শরীরের জন্য উপকারী নাও হতে পারে। যদি আপনি মুরগি খেতে ভালোবাসেন তবে আপনাকে অবশ্যই জেনে নিতে হবে মুরগির কোন অংশগুলো আপনার খাওয়া উচিত এবং কোন অংশগুলো আপনার বর্জন করা উচিত। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অবশ্যই মুরগি কিভাবে রান্না করতে হবে এবং মুরগির কোন অংশগুলো খাওয়া যাবে না তা জেনে নিতে হবে।

স্বাস্থ্য ভালো রাখতে মুরগীর যে ১০ টি  অংশ খাবেন না—

মুরগির চামড়া
মুরগির চামড়া অনেকেই খেতে পছন্দ করেন। তবে, এতে প্রচুর পরিমাণে চর্বি ও ব্যাকটেরিয়া থাকে। অতিরিক্ত চর্বি থাকার কারণে অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে হার্টের বিভিন্ন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার সঠিকভাবে মুরগির চামড়া রান্না না করা হলে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়া থেকে শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হতে পারে।

ফুসফুস
মুরগির ফুসফুস অনেক খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হলেও এতে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া থাকে যা আপনার শরীরে নানা ধরণের রোগ সৃষ্টি করতে পারে। সঠিকভাবে ফুসফুস পরিষ্কার করা না হলে এতে থাকা জীবাণু আপনার শরীরে স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

মাথা
মুরগির মাথা অনেক সময় সুপ বা ঝোলের স্বাদ বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এতে খাদ্যে ব্যবহৃত কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ থাকতে পারে।

দীর্ঘমেয়াদে এসব রাসায়নিক শরীরে জমে নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
অন্ত্র 
মুরগির অন্ত্র ব্যাকটেরিয়ায় পরিপূর্ণ এবং পরিষ্কার করা অত্যন্ত কঠিন। অভিজ্ঞ কেউ ঠিকভাবে পরিষ্কার ও রান্না না করলে এতে সালমোনেলা বা ক্যাম্পিলোব্যাকটারের মতো মারাত্মক ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে।

পা
মুরগির পা খেতে অনেকেই পছন্দ করে। তবে, মুরগির  এই পা থেকে ছড়াতে পারে নানা ধরণের রোগ ও জীবাণু।

মুরগীর পা সবসময় মাটির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে তাই এতে বিভিন্ন ধরণের জীবাণু থাকে। তাই রান্না করার পূর্বে অবশ্যই সঠিকভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তা না হলে এতে থাকা জীবাণু শরীরে নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
 
মুরগির হৃদপিণ্ড
মুরগির হৃদপিণ্ড পুষ্টিগুণে ভরপুর থাকে। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে এটি কম পরিমাণে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। অতিরিক্ত মাত্রায় মুরগির হৃদপিণ্ড খাওয়া হলে হরমোনজনিত সমস্যা হতে পারে।

মুরগির গিলা
মুরগির পাকস্থলীর মতো কাজ করা গিলায় ছোট পাথর বা খাদ্যকণা থাকতে পারে। ভালোভাবে না ধোয়া হলে এতে জীবাণু বা ময়লা থেকে যেতে পারে। ভালোভাবে পরিষ্কার ও সেদ্ধ করেই খাওয়া উচিত।

মুরগির গলা
মুরগির গলা সাধারণত সুপ তৈরিতে বেশি ব্যবহার করা হয়। তবে মুরগির অন্যান্য অংশের তুলনায় গলায় সবচেয়ে বেশি জীবাণু থাকে। অনেক সময় ভালোভাবে সিদ্ধ করার পরেও কিছু জীবাণু থেকেই যায়। তাই মুরগির গলা খাওয়ার আগে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন এবং পর্যাপ্ত সময় নিয়ে সিদ্ধ করুন। যাতে এতে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু মরে যায়।

মুরগির ডানা
মুরগির ডানা মুখরোচক বিভিন্ন খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হলেও এতে প্রোটিনের পরিমাণ অনেক কম থাকে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট ও জীবাণু থাকে। ভালোভাবে পরিষ্কার করে খাবার তৈরি করা না হলে এতে থাকা জীবাণু থেকে শরীরে বিভিন্ন ধরণের রোগ সৃষ্টি হতে পারে।

মুরগির অস্থিমজ্জা
মুরগির হার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলেও অনেক সময় হাড়ে থাকা ব্লাড স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়। তাই রান্না করার সময় পর্যাপ্ত সময় নিয়ে মুরগির মাংস সিদ্ধ করা উচিত। যাতে করে হারে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু রান্না করার সময় ধ্বংস হয়ে যায়। 

মুরগি একটি পুষ্টিকর ও নিরাপদ প্রোটিন হলেও, সব অংশ খাওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে যেসব অংশ ভালোভাবে পরিষ্কার ও রান্না করা কঠিন, সেগুলো এড়িয়ে চলা ভালো। কাঁচা মাংস সংরক্ষণ, রান্নার সময় পারস্পরিক সংক্রমণ এবং অপর্যাপ্ত তাপমাত্রায় রান্না – এসব ছোট ভুল বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তাই সব সময় সঠিকভাবে রান্না করুন, নিরাপদ অংশ বেছে নিন এবং মুরগি খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করুন।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের