
গত শুক্রবার ( ৮ ডিসেম্বর) ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক মহাপরিচালকের (ডিজিএফটিআই) কার্যালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়, পেঁয়াজের রপ্তানি ‘উন্মুক্ত’ থেকে সংশোধিত হয়ে ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ‘নিষিদ্ধ’ থাকবে।
ভারতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় গত ২৯ অক্টোবর প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য ৮০০ ডলার নির্ধারণ করা হয়। প্রথমে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছিল।
গতকাল তা সংশোধন করে নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর এক রাতের ব্যবধানেই দেশের পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে ওঠে শনিবার ( ৯ ডিসেম্বর)।
কেজি প্রতি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৩০ টাকায়। আর ভারতীয়টার দামও দুশো’ ছুঁয়েছে। পেঁয়াজের বাজারের এমন অস্থিতিশীলতায় দিশেহারা অবস্থা ক্রেতাদের। দাবি, বাজার মনিটরিং জোরদার করার।
শনিবার ( ৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকে কেজিপ্রতি ৪০-৫০ টাকা বেড়ে পেঁয়াজের দাম গিয়ে ঠেকেছে প্রায় দ্বিগুণ দামে। খুচরায় গত রাতে ১২০-১৩০ টাকায়ও মিলেছে দেশি পেঁয়াজ। এক রাতের ব্যবধানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২০-২৩০ টাকা। আর ১০২-১০৩ টাকা কেজি দরের ভারতীয় পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতাদের এখন গুনতে হচ্ছে দুশো টাকা। এদিকে প্রতি মুহূর্তে বাজারে কমছে পেঁয়াজ। পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলছে দাম।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে সম্পূর্ণরূপে উঠলে কমতে পারে দাম। আর ফেব্রুয়ারিতে নতুন পেঁয়াজের চাষ শুরু হলে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বাজারে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম