সাম্প্রতিককালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৩৮৮০ পরিবারকে চাল, ডাল, আলু, তেল, লবণ ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ত্রাণ সহায়তা হিসেবে দিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পপি।
আকস্মিক বন্যার পানিতে বাংলাদেশের পূর্ব ও দক্ষিণ অঞ্চলের বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, দোকানপাট, আবাদি জমিসহ তলিয়ে যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি জেলার বিস্তৃর্ণ অঞ্চল। গৃহহীন ও কর্মহীন হয়ে পড়ে অসংখ্য মানুষ। বন্যার তোড়ে ভেসে খাদ্যসামগ্রী। শিশু-কিশোর বৃদ্ধসহ বন্যা আক্রান্ত হয়ে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে পরে হাজার হাজার মানুষ। পপি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে এসকল মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। সংস্থাটি দ্বিতীয় দফার এ ত্রাণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১৩৮৮০টি পরিবারকে মোট ১৬৬৫৬০ কেজি পণ্য সামগ্রী সহায়তা করেছে। উল্লেখ্য যে, বন্যা শুরুর সাথে সাথেই পপি কুমিল্লা জেলার লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, বরুড়া, চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি, লক্ষীপুর জেলা, নোয়াখালী জেলার মাইজদী, চৌমুহনী, কানকিরহাট, ফেনী জেলার মহিপাল, দাগনভূঁইয়া, সোনাগাজী, সেনবাগসহ বিভিন্ন এলাকয়ায় মুড়ি, চিড়া, পাউরুটি, বিস্কুট বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্যালাইন, প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ত্রাণ হিসেবে বিতরণ করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ে এই সহায়তার পরেই দেশের এই স্বনামধন্য এনজিও দ্বিতীয় পর্যায়ে ত্রাণ সামগ্রী প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ত্রাণ কার্যক্রমের পাশাপাশি পপির সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর একদিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ ত্রাণ সহায়তা হিসেবে প্রদান করে। পপির উপকারভোগী ও প্রান্তিক মানুষের মধ্যে এ সকল উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
ত্রাণ সহায়তা নিতে এসে পপির উপকারভোগী সদস্য জানান, পপির এই সহায়তার কারণে দুর্যোগের মধ্যেও আমরা কিছুটা স্বস্তি অনুভব করছি। বন্যার মতো বিপদের সময় এভাবে কোনো প্রতিষ্ঠান পাশে দাড়াঁলে সদস্য হিসেবে অন্তরে অন্যরকম সাহস ও শক্তির সঞ্চার হয়, আমাদের ভেতরেও তেমনটা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ত্রাণ কার্যক্রমের সার্বিক পরিচালনা করেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক জনাব মুর্শেদ আলম সরকার। মাঠ পর্যায়ে এ বাস্তবায়নে মুখ্য ভূমিকা রাখেন প্রতিষ্ঠানটির মাইক্রোফিন্যান্স পরিচালক মশিহুর রহমান।