
একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে লাল-সবুজের পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে উড়োজাহাজের সংকট দেখা দিয়েছে। যার কারণে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ঢাকা-কুয়েত ও ঢাকা-চট্টগ্রাম-দুবাই রুটের দুটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
জানতে চাইলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক এ বি এম রওশন কবির জানান, এয়ারক্রাফট স্বল্পতায় বিমানের দুটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
তিনি বলেন,, রোমে একটি ফ্লাইট ২৬২ জন যাত্রী নিয়ে গ্রাউন্ডেড হয়ে আছে।
সেটি মেরামতের কাজ চলছে। যার ফলে শিডিউল অনুযায়ী উড়োজাহাজ দেওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে দুটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
বাতিল দুটি ফ্লাইটের যাত্রীদের ভোগান্তির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা গতকাল যাত্রীদের মেসেজ দিয়েছি।
তবে যারা ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে টিকিট কেটেছেন, তাদের যোগাযোগের ঠিকানা আমাদের কাছে না থাকায় মেসেজ পাঠানো সম্ভব হয়নি।
গত রবিবার রোমে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় বিমানের একটি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ গ্রাউন্ডেড হয়। ওই ফ্লাইটে থাকা ২৬২ জন যাত্রী ও ক্রু বিকল্প ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত বিমানের খরচে হোটেলে অবস্থান করছেন।
গত এক মাসে উড়াল দেওয়ার আগে-পরে বিমানের অন্তত ৯টি উড়োজাহাজে বিভিন্ন যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে চাকা খুলে পড়া বা ফেটে যাওয়া, ইঞ্জিনে অতিরিক্ত কম্পন, কেবিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, ল্যান্ডিং গিয়ারের দরজা না বন্ধ হওয়া। এর ফলে শিডিউল বিপর্যয়ের পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত এই সংস্থা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব ত্রুটি কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়। বরং দীর্ঘদিনের রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থার অবহেলার ফসল। বিমান পরিচালনার ক্ষেত্রে কারিগরি দক্ষতা, নিয়মিত প্রশিক্ষণ এবং মান নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরি।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম