
আসন্ন হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য ৩৩টি ব্যাংককে অনুমতি দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন ফি জমা নেওয়ার কাজ করবে এসব ব্যাংক।
গত ১৩ আগস্ট ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ-২ শাখা থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেছেন উপসচিব মো. রফিকুল ইসলাম।
অনুমতি পাওয়া ব্যাংকের তালিকায় রয়েছে:
১. সোনালী ব্যাংক
২. জনতা ব্যাংক
৩. অগ্রণী ব্যাংক
৪. রূপালী ব্যাংক
৫. ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ
৬. আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক
৭. পূবালী ব্যাংক
৮. আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক
৯. ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)
১০. ইউনিয়ন ব্যাংক
১১. এক্সিম ব্যাংক
১২. এনসিসি ব্যাংক
১৩. এনআরবি ব্যাংক
১৪. ওয়ান ব্যাংক
১৫. ট্রাস্ট ব্যাংক
১৬. দি সিটি ব্যাংক
১৭. ডাচ-বাংলা ব্যাংক
১৮. ন্যাশনাল ব্যাংক
১৯. প্রাইম ব্যাংক
২০. ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক
২১. বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক
২২. বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক
২৩. ব্যাংক এশিয়া
২৪. মার্কেন্টাইল ব্যাংক
২৫. মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক
২৬. যমুনা ব্যাংক
২৭. সাউথ বাংলা এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক
২৮. সাউথইস্ট ব্যাংক
২৯. সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক
৩০. স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক
৩১. স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক
৩২. প্রিমিয়ার ব্যাংক
৩৩. শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, এসব ব্যাংকের নির্ধারিত শাখাগুলোতে হজযাত্রীরা নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ফি জমা দিতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যান। নিবন্ধন ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সহজ করতে সরকার প্রতিবছর নির্ধারিত কিছু ব্যাংককে দায়িত্ব দিয়ে থাকে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। প্রাক-নিবন্ধনের অর্থ প্রতি ৩০ দিবসের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের নির্ধারিত হিসাবে স্থানান্তর করতে হবে। হজযাত্রীর বিপরীতে কোনো হজ এজেন্সিকে ঋণ দেওয়া যাবে না। হজযাত্রীর প্রাথমিক নিবন্ধন বা নিবন্ধনের অর্থ এজেন্সির নির্ধারিত ব্যাংক হিসাবে জমা থাকবে। এ অর্থ ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত নির্ধারিত খাত ছাড়া অন্য খাতে ব্যবহার বা স্থানান্তর করা যাবে না। ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০২২ (সংশোধিত)’ যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম