
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি হলেও শুল্ক জটিলতায় তা খালাস করতে পারছেন না আমদানিকারকরা। আমদানি শুরুর তিন দিন পার হলেও বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় পড়ে আছে প্রায় দুই হাজার ৭১৯ মেট্রিকটন চাল। এছাড়াও আমদানির অপেক্ষায় চাল বোঝাই ভারতীয় ২০০ থেকে ২৫০ ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে পাইপ লাইনে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) হিলি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজা আহম্মেদ বিপুল বলেন, দেশের বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য ভারত থেকে চাল আমদানির অুনমতি দেওয়ায় আমরা ভারত থেকে আমদানি শুরু করেছি। কিন্তু শুল্ক জটিলতায় তা ছাড়করণ করতে পারছিনা। সার্ভারে ৬৬ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ রয়েছে। তা যদি এনবিআর গত বছরের মতো দুই শতাংশ করে, তাহলে চালগুলো ছাড়করণ করতে পারবো।
তিনি বলেন, যদি ৬৬ শতাংশ শুল্ক দিয়ে চাল ছাড় করা হয়, তবে শুল্ক, পরিবহন আনুষাঙ্গিক খরচসহ প্রতি কেজির চালের মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৯০ টাকা। যদি এমনটা হয়, তাহলে আমরা দেশের বাজারে বেচবো কী করে!
হিলি শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হলেও তা এখনও কেউ ছাড়করণ করান নাই। যদি কেউ ছাড়করণ করতে চায় তাহলে ৬২ দশমিক দুই শতাংশ শুল্ক দিয়ে ছাড়করণ করতে পারবেন।
সারাদেশের ২৪২ জন আমদানিকারককে পাঁচ লাখ টন চাল আমদানির জন্য বরাদ্দ দেয় সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার থেকে প্রায় চার মাস বন্ধের পর চাল আমদানি শুরু হয়।
এর আগে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে চাল আমদানি শুরু হয়। পরে বন্ধ হয়ে যায় ২০২৫ সালের ১৫ এপ্রিলে। আবার ১২ আগস্ট থেকে মেসার্স মিঠুন কুমার শাহ নামের এক আমদানিকারক ভারতীয় তিনটি ট্রাকে ১২৬ টন চাল আমদানি করেন।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম