
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, সাংবাদিক হিসেবে শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করলেও বেতন নির্ধারণ করছে তথ্য মন্ত্রণালয়, এটা অবাস্তব। আমরা চাই ওয়েজ বোর্ডের বিষয়টি শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে হোক।
আজ বুধবার বিকেলে তথ্য ভবনে সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড গঠন এবং ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ (খসড়া)’ সংক্রান্ত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, একটা বাস্তবতা হচ্ছে—আপনি একজন সাংবাদিক হিসেবে শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করছেন, কিন্তু আপনার বেতন নির্ধারণ করছে তথ্য মন্ত্রণালয়। এটা বাস্তবসম্মত নয়, এটি একটি আনরিয়েল।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই এর সমাধান হোক আমার হাতে থাকা সময়ের মধ্যেই। সাংবাদিকদের জন্য বাস্তবসম্মত বেতন কাঠামো ও সুরক্ষা আইন নিশ্চিত করতে আমি আন্তরিকভাবে চাই। তবে সত্য হচ্ছে—মালিক পক্ষের সদিচ্ছার অভাবেই এটি এতদিন বাস্তবায়ন হয়নি।
আলোচনায় এক পর্যায়ে বিতর্ক ওঠে—সাংবাদিকরা আদৌ কি শ্রমিক? কেউ পক্ষে যুক্তি দেন, কেউ বিপক্ষে। তবে বেশিরভাগের মত, সংবাদপত্রকে শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলে কর্মীরাও শ্রমিক হিসেবেই গণ্য হবেন।
এ ছাড়া ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ (খসড়া)’ নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হয়রানি, মামলা, জরিমানা এবং পেশাগত নিরাপত্তার ঘাটতির বিষয়গুলো উঠে আসে। অনেকে বলেন, বেতন কাঠামোর পাশাপাশি ন্যূনতম নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে সাংবাদিকতা আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে।
সভায় সাংবাদিক সংগঠনের শীর্ষ নেতারা, তথ্য মন্ত্রণালয় ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বাসসের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম