
চলতি গ্রীষ্মে চীনের ভ্রমণ খাত এক নতুন মাত্রা পেয়েছে। বেইজিং-ভিত্তিক পর্যটন সংস্থা ইউট্যুর ওয়ার্ল্ডের তথ্য বলছে—এ বছর গ্রীষ্মকালীন ভ্রমণ বেড়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ। এর মধ্যে ৬০ শতাংশের বেশি ভ্রমণ হচ্ছে পরিবারকেন্দ্রিক, যেখানে প্রাধান্য পাচ্ছে প্রকৃতি আর সংস্কৃতি।
তরুণ প্রজন্মের ভ্রমণ অভ্যাসেও এসেছে বড় পরিবর্তন। এখন তারা চাইছে ধীরস্থির ভ্রমণ, ব্যক্তিগত রুটিনে সাজানো অভিজ্ঞতা। গণভ্রমণ নয় বরং লোকজ সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে যাওয়াই তাদের আসল লক্ষ্য।
ইউট্যুর ওয়ার্ল্ড এর মিডিয়া ম্যানেজার লি ম্যংরান বলেন,‘অভিভাবকেরা এখন সন্তানদের লোকজ অভিজ্ঞতায় যুক্ত করতে চান। তাই আমরা ট্যুর প্যাকেজে রাখছি ঐতিহ্যবাহী খাবার তৈরি কিংবা হস্তশিল্পের মতো কার্যক্রম।’
এদিকে তরুণ ভ্রমণকারীরা জানালেন নিজেদের অভিজ্ঞতা। মে দিবসে জাপান ভ্রমণ করেছেন এক পর্যটক, আরেকজন গেছেন শানসি প্রদেশে, ভিডিও গেম থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে। যেখানে একসাথে পেয়েছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর ঐতিহাসিক স্থাপত্য।
শুধু দেশীয় নয়, আন্তর্জাতিক পর্যটনেও চোখে পড়ছে উল্লম্ফন। গত বছরের তুলনায় বিদেশি পর্যটক সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ।
ইউট্যুর ওয়ার্ল্ড এর মিডিয়া ম্যানেজার লি ম্যংরান বলেন, ‘২০২৩ সালে যখন চীনে বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা আবার বাড়তে শুরু করে। তখন মূলত ভ্রমণকারীরা এসেছিলেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং কাজাখস্তান, উজবেকিস্তানের মতো মধ্য এশিয়ার বেল্ট অ্যান্ড রোড দেশগুলো থেকে। তবে এ বছর দরজা আরও উন্মুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকা থেকেও পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে এবং আরও বেশি শহর বিদেশি পর্যটকদের স্বাগত জানাচ্ছে।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, চীনের ভ্রমণ খাতের এ পরিবর্তন আসলে তরুণ প্রজন্মের সাংস্কৃতিক জীবনধারা উন্নয়নের ইঙ্গিত। যেখানে বিশ্রাম, অভিজ্ঞতা আর স্বকীয়তাই হয়ে উঠছে নতুন ভ্রমণ ট্রেন্ড।
তরুণদের এমন সাংস্কৃতিক ভ্রমণ অভ্যাস শুধু পর্যটন শিল্পের অর্থনীতিই বদলাচ্ছে না, বরং দেশীয় সংস্কৃতির প্রচার ও বিশ্বায়নেও রাখছে বড় ভূমিকা।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম