শহিদুল আলমসহ আটক অধিকারকর্মীদের নেওয়া হলো আশদোদ বন্দরে

বৃহস্পতিবার,

০৯ অক্টোবর ২০২৫,

২৪ আশ্বিন ১৪৩২

বৃহস্পতিবার,

০৯ অক্টোবর ২০২৫,

২৪ আশ্বিন ১৪৩২

Radio Today News

শহিদুল আলমসহ আটক অধিকারকর্মীদের নেওয়া হলো আশদোদ বন্দরে

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:৫৭, ৯ অক্টোবর ২০২৫

Google News
শহিদুল আলমসহ আটক অধিকারকর্মীদের নেওয়া হলো আশদোদ বন্দরে

ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরে নেয়া হয়েছে শহিদুল আলম সহ গাজাগামী জাহাজবহর থেকে আটক অধিকারকর্মীদের। দখলদার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয় এ তথ্য।  বিবৃতিতে বলা হয়, বুধবার গাজা উপকূলে পৌঁছানোর আগেই, আন্তর্জাতিক জলসীমাতে আটকে দেয়া হয় ফ্লোটিলার ৮টি জাহাজ। সেই সঙ্গে দেড়শো স্বেচ্ছাসেবীদের আটক করে ইসরায়েলি নৌবাহিনী। বর্তমানে তারা সবাই সুস্থ আছেন বলে দাবি করে তেলআবিব। দ্রুত তাদের ফিরিয়ে দেয়া হবে নিজ দেশে। 

এই নৌবহরের 'কনশানস' নামের একটি জাহাজে ছিলেন বাংলাদেশি আলোকচিত্রি ও মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলম। বর্তমানে আটক অবস্থায় অন্যান্য অধিকারকর্মীদের সঙ্গে ইসরায়েলে আছেন তিনি।

ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) আয়োজিত নয়টি জাহাজের বহরটি দুই সপ্তাহ আগে ইতালি থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। একটি বড় জাহাজে প্রায় ১০০ জন এবং বাকি আটটি ছোট নৌযানে আরও ৫০ জন কর্মী ছিলেন। আয়োজকদের দাবি, অন্তত দুইজন ইসরায়েলি নাগরিকও এই নৌবহরে ছিলেন।

বুধবার ভোরে গাজা উপকূল থেকে প্রায় ১৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভূমধ্যসাগরে ইসরায়েলি নৌবাহিনীর বিশেষ ইউনিট শায়েতেত ১৩ এবং অন্যান্য বাহিনী দ্রুত অভিযান চালিয়ে নয়টি জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয়। “কনশানস” নামের ৬৮ মিটার দীর্ঘ যাত্রীবাহী জাহাজে নামার জন্য কমান্ডোরা হেলিকপ্টার থেকে রশি বেয়ে নামেন।

ফ্লোটিলা সংগঠকরা এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছেন, “আমাদের জাহাজে ইসরায়েলি সামরিক হেলিকপ্টার থেকে হামলা চালানো হয়েছে এবং আমাদের আটটি নৌযান অবৈধভাবে আটক ও ছিনতাই করা হয়েছে।”

এফএফসি জানায়, “বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিকদের আটক করে অজানা স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”

তাদের দাবি, নৌবহরটি ১ লাখ ১০ হাজার ডলারের বেশি মূল্যের ওষুধ, রেসপিরেটরি সরঞ্জাম ও পুষ্টি সহায়তা বহন করছিল, যা গাজার হাসপাতালগুলোর জন্য পাঠানো হচ্ছিল।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের