৭২ বছর বয়সে যদি সেফ এক্সিটের কথা ভাবতে হয়, তা হবে দুঃখের বিষয়

বৃহস্পতিবার,

০৯ অক্টোবর ২০২৫,

২৪ আশ্বিন ১৪৩২

বৃহস্পতিবার,

০৯ অক্টোবর ২০২৫,

২৪ আশ্বিন ১৪৩২

Radio Today News

ফেসবুক পোস্টে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান

৭২ বছর বয়সে যদি সেফ এক্সিটের কথা ভাবতে হয়, তা হবে দুঃখের বিষয়

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৪:৩১, ৯ অক্টোবর ২০২৫

Google News
৭২ বছর বয়সে যদি সেফ এক্সিটের কথা ভাবতে হয়, তা হবে দুঃখের বিষয়

৭২ বছরের বেশি বয়সে এসে সেফ এক্সিটের কথা ভাবতে হলে সেটি দুঃখের বিষয় হবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন তিনি। তার পোস্টটি শেয়ার করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের ‘সেফ এক্সিট’ নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের মন্তব্যে তোলপাড় চলছে প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে।

পর্দার আড়ালে কী ঘটতে যাচ্ছে, তা নিয়ে কানাঘুষা চলছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ‘উপদেষ্টার রোজনামচা, চালকের হেলমেট নাই, ও সেফ এক্সিট’ শিরোনামে আজ বৃহস্পতিবার ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

ফেসবুক পোস্টের শেষের অংশে ‘সেফ এক্সিট’ প্রসঙ্গে কথা বলেন তিনি।

ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘বিষয়টি উত্থাপনকারী, প্রাক্তন উপদেষ্টা ও বর্তমান এনসিপি নেতা নাহিদ ইসলাম আমার অত্যন্ত স্নেহভাজন ও জুলাই আন্দোলনের অগ্রসেনা হিসাবে শ্রদ্ধার পাত্র। তাই তার বক্তব্যের ওপর আমার মন্তব্য করা শোভন নয়। তাছাড়া আমি রাজনৈতিক বিষয়ে কোনো মন্তব্য করি না।’
তিনি আরো বলেন, ‘নিজে পদে থেকে অন্যায় সুবিধা গ্রহণ করিনি।

আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব কাউকে ব্যবসা বা চাকরি দিই নাই। নিজের সীমিত সামর্থের সবটুকু ব্যবহার করে জনগণের প্রতি দায়িত্ব পালন করেছি। শিক্ষকতার সূত্রে, ইতিপূর্বে যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার নিশ্চিত সুযোগ গ্রহণ করিনি। তাই আজ ৭২ বছরেরও বেশি বয়সে আমাকে যদি সেফ এক্সিটের  কথা ভাবতে হয় তা হবে গভীর দুঃখের বিষয়।’

ওই পোস্টে তিনি গতকাল হেলমেট ছাড়া চালকের মোটরসাইকেলে চড়ার ব্যখ্যাও দিয়েছেন।

ফেসবুক পোস্টে ফাওজুল কবির খান লিখেছেন, সরাইলের পথে যানজটে সাত-আট কিলোমিটার রাস্তায় এক ঘণ্টা আটকে থাকার পর তিনি প্রথমে হেঁটে ও পরে মোটরসাইকেলে রওনা হন। তিনি বলেন, ‘মোটরসাইকেল খুঁজতে গিয়ে দেখা যায় চালক কিংবা যাত্রী কারওই হেলমেট নাই। আট-দশটা মটোরবাইক খুঁজে একটিমাত্র হেলমেট পাওয়া যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির ও অপেক্ষার পরও চালকের জন্য হেলমেট না পেয়ে সবার পরামর্শে একমাত্র হেলমেটটি নিজে পড়ে রওনা দিই।’

তিনি জানান, হেলমেটবিহীন চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিনি পুলিশকে পরামর্শ এবং বিআরটিএ ও জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। যানজটের কারণ হিসেবে তিনি সরাইল চৌরাস্তার নির্মাণকাজের পাশাপাশি চালকদের শৃঙ্খলার অভাব ও হাইওয়ে পুলিশের ব্যবস্থাপনার ঘাটতিকে দায়ী করেন।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের