ডাক বিভাগের বেদখল সম্পদ পুনরুদ্ধার করা হবে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

বৃহস্পতিবার,

০৯ অক্টোবর ২০২৫,

২৪ আশ্বিন ১৪৩২

বৃহস্পতিবার,

০৯ অক্টোবর ২০২৫,

২৪ আশ্বিন ১৪৩২

Radio Today News

ডাক বিভাগের বেদখল সম্পদ পুনরুদ্ধার করা হবে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৪:৩৪, ৯ অক্টোবর ২০২৫

Google News
ডাক বিভাগের বেদখল সম্পদ পুনরুদ্ধার করা হবে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

ডাক বিভাগের বেদখল সম্পদ পুনরুদ্ধার করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। 

আজ (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাক বিভাগের সভাকক্ষে ‘বিশ্ব ডাক দিবস’ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিশেষ সহকারী বলেন, ‘দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমরা ডাক বিভাগের মোট সম্পদের পাশাপাশি বেদখল সম্পদের তালিকা প্রস্তুত করেছি। দ্রুতই বিভাগীয় কমিশনার এবং ডিসিদের সমন্বয়ে বেদখল সম্পদ পুনরুদ্ধারের কার্যক্রম শুরু করা হবে।’

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, এড্রেস ম্যানেজমেন্ট (ঠিকানা ব্যবস্থাপনা)-এর বর্তমান স্ট্রাকচার ডিজিটাল ইকোনমির জন্য উপযোগী নয়। তাই বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিসের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এড্রেস ম্যানেজমেন্টকে ডিজিটাল করার চেষ্টা করছি। যেখানে এরিয়া কোড, স্ট্রিট কোড এবং হাউজ কোডগুলো সমন্বিত করা হবে এবং এড্রেসের সঙ্গে জিওফেন্সিং করা হবে। 

তার মতে, এটির সঙ্গে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা দরকার। সেজন্য ডাক ও কুরিয়ার আইন হালনাগাদের মাধ্যমে এড্রেস করার কাজ চলছে। নভেম্বরের মধ্যেই ডাক ও কুরিয়ারের সংশোধিত আইন মন্ত্রিপরিষদে উপস্থাপন করা যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।

তিনি আরও জানান, মেইল ও পার্সেল ট্র্যাকিং সিস্টেমের আওতায় বর্তমানে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ট্র্যাকিং করা যায়। তাই ট্র্যাকিং সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারের মানোন্নয়নের মাধ্যমে ত্রুটিহীন করার কাজ শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে মেইল ও পার্সেল ট্র্যাকিং প্রায় শতভাগে উন্নীত হবে।

প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী বলেন, ‘ই-কমার্সের সঙ্গে ডাক বিভাগকে সমন্বিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে শহর ও গ্রামের মানুষ একইভাবে সেবা পায়। পাশাপাশি ই-কমার্সের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

দিবসটি উপলক্ষ্যে আজ স্মারক ডাক টিকেট উন্মোচন করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আব্দুন নাসের খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এস এম শাহাবুদ্দিনসহ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ডাক ভবনের সামনের রাস্তায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

ডাক দিবস উপলক্ষ্যে দু’দিনের অনুষ্ঠানের প্রথমদিনে বিকেল সাড়ে ৩টায় ‘আগামীর ভাবনায় ডাক’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হবে। সেখানে ডাক সেবার ডিজিটাল রূপান্তর ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা মতবিনিময় করবেন।

দিবসটি উপলক্ষ্যে ডাক ভবনের নিচতলায় মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এতে মোট ২০টি স্টল অংশ নিয়েছে। এছাড়া অতি প্রাচীন ডাক টিকেটের প্রদর্শনী শুরু হয়েছে, শেষ হবে আগামীকাল।

দিবস উপলক্ষ্যে দ্বিতীয় দিনের (১০ অক্টোবর) কর্মসূচি: 
আগামীকাল সকাল ১০টায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতা হবে। বিকেলে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ান হাসান।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের