নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে প্রায় ২০০ পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এনিয়ে ইইউ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সম্পাদন হয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রার্থীদের অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এখনও কোনো আলোচনা হয়নি। তবে ইতিমধ্যে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং প্রার্থীদের জন্য আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ও সশস্ত্র রক্ষী (রিটেইনার) নিয়োগের একটি নীতিমালা প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
ইসি সচিব জানান, নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়ে ইইউ, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং নির্বাচন কমিশনের মধ্যে একটি প্রশাসনিক চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। এই চুক্তির আলোকে ইইউ একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে পাঠাবে। আমরা এখন পর্যন্ত ডেলিগেশন প্রধানের নাম জানতে পেরেছি। তিনি হলেন মেম্বার অব ইউ পার্লামেন্ট আইভার্স ইজাপস। চুক্তিটি গত কার্যদিবসে সম্পন্ন হলেও ব্রাসেলস (ইইউ সদর দপ্তর) থেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় আমরা তা প্রকাশ করিনি। মঙ্গলবার রাতে অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর আজ আপনাদের জানানো হচ্ছে।
তিনি জানান, আমাদের ধারণা দেওয়া হয়েছে ১৭৫ থেকে ২০০ জনের মতো পর্যবেক্ষক আসতে পারেন। তবে সুনির্দিষ্ট সংখ্যা এবং তাদের বিস্তারিত শিডিউল পরবর্তী সময়ে জানানো হবে। ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় আমরা পর্যবেক্ষক দলকে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক সুবিধা দেবো।
পর্যবেক্ষকরা বাংলাদেশের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা মেনেই কাজ করবেন বলে চুক্তিতে উল্লেখ আছে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, ইইউ ছাড়াও এখন পর্যন্ত টার্কি (তুরস্ক) থেকে এবং আরও দুই-একটি সংস্থা থেকে পর্যবেক্ষণের বিষয়ে আমরা প্রস্তাবনা পেয়েছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
এদিকে গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ‘রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগ নীতিমালা–২০২৫’ জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হচ্ছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং প্রার্থীদের জন্য আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ও সশস্ত্র রক্ষী (রিটেইনার) নিয়োগ করা যাবে।
এ ব্যাপারে ইসি সচিব বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রার্থীদের অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে ইসির সঙ্গে এখনও কোনো আলোচনা হয়নি।
দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে যথাসময়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

