
কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের দাবি ও বক্তব্য সংবিধান ও রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির বিরোধী। কোটা নিয়ে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোটার প্রয়োজন রয়েছে। একটি কুচক্রী মহল কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে।
‘গেল কয়েকটি বছরে কোটা না থাকায় নারীদের অংশগ্রহণ হতাশাজনক। পিছিয়ে পড়েছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীও’, বলেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্য বাংলাদেশে কোটায় নিয়োগ সবচেয়ে কম। ভারতের ৬০ শতাংশ, পাকিস্তানের ৯২.৫ শতাংশ, নেপালে ৪৫ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৫০ শতাংশ চাকরিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে ৬০ শতাংশ কোটা চালু রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনের আগে পেনশন নিয়ে আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি আকতারুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর নিজামুল হক ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ১৩ জন শিক্ষক প্রতিনিধি আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানান, পেনশন স্কিম ২০২৪ না ২০২৫ এ নিয়ে একটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল। তা দূর হয়েছে। ২০২৫ সালের পহেলা জুলাই থেকে সবার জন্য সার্বজনীন পেনশন স্কিম। শিক্ষকদের অন্যান্য দাবিনামা নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অচিরেই সমাধান হবে।
তিনি আরও বালেন, দেশের ১৫ টি জেলার প্রায় ২০ লাখ মানুষ বন্যা কবলিত। বন্যার তো এসব মানুষের পাশে সরকারের পাশাপাশি সহযোগিতা করছে আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধি ও নেতাকর্মীরা।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম