৫ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ ৮টি রাজনৈতিক দল। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরের দিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় গিয়ে এই স্মারকলিপি জমা দেয়। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান।
এর আগে ৫ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে জামায়াতসহ ৮ রাজনৈতিক দলের পদযাত্রায় বাধা দেয় পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পল্টন থেকে দলে দলে মিছিল নিয়ে পদযাত্রাটি মৎস্য ভবন এলাকায় পৌঁছালে সেখানে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়। পরে জামায়াতসহ ৮ রাজনৈতিক দলের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিতে যমুনার উদ্দেশে রওনা হয়।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এদিন সকাল থেকেই ৫ দফা দাবিতে জামায়াতসহ ৮ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে জনসমুদ্রে পরিণত হয় রাজধানীর পল্টন এলাকা। দলে দলে মিছিল নিয়ে পল্টন মোড়ে এসে জামায়াতসহ অন্যান্য ইসলামী দলগুলোর নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকলে একপর্যায়ে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, প্রয়োজনে আবার জীবন দেবো, তবুও জুলাইয়ের চেতনা ভূলুণ্ঠিত হতে দেবো না। সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুল বাঁকা করব৷ ঘি আমাদের লাগবেই৷
এছাড়াও সমাবেশে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ছাড়াও অন্যরা বক্তব্য দেন। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিতে পল্টন থেকে যমুনার উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু হয়।
জামায়াতের সঙ্গী অন্য দলগুলো হলো- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।
গত সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন জামায়াতসহ ৮ ইসলামী দলগুলোর নেতারা।
জামায়াতসহ ৮ ইসলামী দলের ৫ দফা দাবিগুলো হলো-
১) জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও উক্ত আদেশের উপর আগামী নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করা।
২) আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা।
৩) অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতেই এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগে হামলা: ফখরুল
৪) ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা।
৫) স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

