গণতান্ত্রিক, অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর দেশকে গড়ে তুলতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ৩০০ ফিটে সংবর্ধনা অনষ্ঠানে এ মন্তব্য করেনি তিনি।
তারেক রহমান বলেন, সবাই মিলে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলব আমরা, যা একজন মা দেখেন। অর্থাৎ একটি নিরাপদ বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই। যে বাংলাদেশে একজন মানুষ নিরাপদে ঘর থেকে বের হতে পারে ও ঘরে ফিরে আসতে পারে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, প্রথমেই রাব্বুল আলামিনের প্রতি শুকরিয়া আদায় করছি। মহান রাব্বুল আলামিনের দোয়ায় মাতৃভূমিতে ফিরে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে চায়। দেশের মানুষ চায় তারা তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী ন্যায্য অধিকার পাবে। আজ আমাদের সময় এসেছে সবাই মিলে দেশ গড়ার।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর বেলা পৌঁনে ১২টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকায় পৌঁছান। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেই তাঁকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে দেখা গেছে।
ঢাকায় অবতরণের আগে বিমানটি সিলেটে অবতরণ করেছিল। দেশে ফেরার সময় তারেক রহমানের সঙ্গে আছেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।
বিমানবন্দর থেকে তারেক রহমান যান জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে তথা ৩০০ ফিট রাস্তায় সংবর্ধনাস্থলে। সেখানে অপেক্ষায় থাকা নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে বক্তব্য দেন। এরপর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে যাবেন এভারকেয়ার হাসপাতালে। হাসপাতাল থেকে যাবেন গুলশান-২ নম্বরের বাসভবনে।
এদিকে তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানস্থলে জড়ো হয়েছেন বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে হেঁটে ও খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সংবর্ধনাস্থলে আসেন দলের নেতাকর্মীরা। সরেজমিনে দেখা যায়, গণসংবর্ধনার অনুষ্ঠানস্থলের মঞ্চ প্রস্তুত। মঞ্চে আছে ১৯টি চেয়ার। চারপাশে নিয়োজিত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
রাজধানীর কুড়িলের সড়ক থেকে শুরু করে ৩০০ ফিট গণসংবর্ধনা মঞ্চের পরবর্তী অংশ পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়ে প্রদর্শন করা হয় বিভিন্ন রঙের ব্যানার-ফেস্টুন। নেতাকর্মীদের স্লোগানে পুরো এলাকা উৎসব মুখর হয়ে উঠেছে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

