তারেক রহমান ও জাইমা রহমান ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত

রোববার,

২৮ ডিসেম্বর ২০২৫,

১৪ পৌষ ১৪৩২

রোববার,

২৮ ডিসেম্বর ২০২৫,

১৪ পৌষ ১৪৩২

Radio Today News

তারেক রহমান ও জাইমা রহমান ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৯:৩৬, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫

Google News
তারেক রহমান ও জাইমা রহমান ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত

নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনের প্রেক্ষিতে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ভোটার হয়েছেন তার কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমানও। 

আজ রোববার বিকেলে ইসির জনসংযোগ শাখার পরিচালক রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য জানান। তিনি জানান, তারেক রহমানের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।

অন্যদিকে, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান সমকালকে জানান, তারেক রহমানের পাশাপাশি তার মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের নামও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। 

বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর ২৬১১০৭০২৭৯৭১। আর ঢাকা-১৭ আসনের ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের গুলশান অ্যাভিনিউর ভোটার তালিকায় তার নম্বর ৮১২৪। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বগুড়া-৬ আসনের পাশাপাশি ঢাকা-১৭ আসনেও লড়বেন তারেক রহমান। আজ রোববার ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে তার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনের প্রশিক্ষণ ভবনে এসে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) নিবন্ধনের সব কার্যক্রম সম্পন্ন করে যান তিনি। একই সময় তার কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমানও এনআইডির জন্য সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।

তারেক রহমান ও জাইমা রহমান ঢাকা-১৭ আসনের ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের গুলশান এভিনিউর ১৯৬ নম্বর বাসার ঠিকানায় ভোটার হতে নিবন্ধন সম্পন্ন করেন। এর আগে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান গত জুন মাসে একই ঠিকানায় ভোটার হন। গত ২৫ ডিসেম্বর লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন তারেক রহমান। এরপর নানা কর্মসূচিতে যোগ দেন তিনি।

সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ৫ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি। আপিল নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। রিটার্নিং কর্মকর্তা চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে প্রতীক বরাদ্দ করবেন ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনি প্রচারণা শুরু হবে ২২ জানুয়ারি। প্রচার চালানো যাবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। আর জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা।

ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হতে হলে যেকোনো এলাকার ভোটার হলেই হয়। ২০০৮ সালের ছবিযুক্ত ভোটার তালিকার সময় সংগত কারণে ভোটার হতে পারেননি তিনি। 

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে। তার আগেই ভোটার হওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের