বুধবার,

০১ মে ২০২৪,

১৮ বৈশাখ ১৪৩১

বুধবার,

০১ মে ২০২৪,

১৮ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু

সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পী, রংপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:৩৭, ৫ অক্টোবর ২০২৩

Google News
বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু

ফাইল ছবি

তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে ও কাউনিয়া পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে এষানকার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ঘটেছে। বুধবার সকালে থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানি বাড়লেও রাত দশটার পর থেকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি কমতে শুরু করে।

রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রাখায় রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সতর্কতা জারি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে নিতে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার সকালে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৪৭ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সকালে রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে আসায় বন্যা পরিস্থিতিরও কিছুটা উন্নতি ঘটেছে। কমতে শুরু করেছে নিম্নাঞ্চলের পানি। 

বন্যার পানিতে চরের শত শত হেক্টর জমির ধান ও শীতকালীন সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে। পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় কোথাও কোথাও দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন।

গংগাচড়ার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী জানান, উজানের ঢলে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমার ইউনিয়ন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমাদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোও প্রস্তুত রয়েছে।

গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামান্না নাহিদ জানান, ব্যাপক আকারে বন্যা হতে পারে। এজন্য আমরা জনগণকে সতর্ক করছি। তাদের ধান-চাল, হাঁস-মুরগি, গবাদিপশুসহ প্রয়োজনীয় মালামাল বিভিন্ন স্কুল-কলেজ এবং আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও উঁচু জায়গাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছি। স্কুলগুলোতে  থাকার জন্য ব্যবস্থা করে রেখেছি।

কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিদুল হক জানান, নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের সতর্ক করতে মাইকিং করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলো প্লাবিত হয়ে বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রেখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।

রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান জানান, বন্যাটি ব্যাপক আকাওে হতে পারে। নদীপাড়ের লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছি। যেন একজনেরও প্রাণহানি না হয়। দুর্গত মানুষদের জন্য শুকনা খাবারসহ প্রয়োজনীয় খাবারের বন্দোবস্ত করে রাখা হয়েছে।

রংপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, মডার্ন টেকনোলজির মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশ দ্রুত তথ্যের আদান-প্রদান সম্ভব হলেই দুর্ভোগগুলো কিছুটা হলেও লাঘব হবে।

রেডিওটুডে নিউজ/এসবি

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের