সংগৃহীত ছবি
সুতোয় ঝুলছিল রোনালদোদের বিশ্বকাপ ভাগ্য। কিন্তু প্লে-অফ ফাইনালে কোনও ভুল করলো না পর্তুগাল। ইতালিকে বিদায় করে অঘটনের জন্ম দেওয়া নর্থ মেসিডোনিয়া ২-০ গোলে হারিয়ে নিশ্চিত করেছে কাতার বিশ্বকাপ।
৩২ ও ৬৫ মিনিটে দুটি গোলই করেছেন ব্রুনো ফার্নান্দেস। প্রথমটি বানিয়ে দিয়েছেন নর্থ মেসিডোনিয়ার জীবন অতিষ্ঠ করে তুলবার হুমকি দেওয়া রোনালদো। ইতালিকে লজ্জায় ফেলে দেওয়া মেসিডোনিয়ানরা অবশ্য পর্তুগালকে ভোগাতে পারেনি। পারেনি পর্তুগিজ গোলকিপার ডিয়েগো কস্তাকেও পরীক্ষায় ফেলতে।
এর ফলে টানা ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপের মঞ্চে পৌঁছালো রোনালদোর দল। ৩৭ বছর হয়ে যাওয়া পর্তুগিজ যুবরাজের জন্য এটাই হতে যাচ্ছে শেষ বিশ্বকাপ! ২০১৬ সালের ইউরো ও ২০১৯ সালের নেশন্স লিগ জেতা কোচ ফার্নান্দো সান্দোস অবশ্য এবারের আসরটির শিরোপাও উঁচিয়ে ধরতে চাইছেন, ‘আমি আগেই দুটি টুর্নামেন্ট জিতেছি। আশা করবো কাতারে যেন তৃতীয় শিরোপাটিও জিততে পারি।’
রোনালদোর মতো স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন পোল্যান্ড তারকা রবের্ত লেভানদোভস্কিও। প্লে-অফ ফাইনালে জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচদের সুইডেনকে ২-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে পোল্যান্ড।
৪৯ মিনিটে পেনাল্টিতে প্রথম গোলটি করেন টানা দুইবারের ফিফা বর্ষসেরা লেভানদোভস্কি। ৭২ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করেছেন জেলিনস্কি। ম্যাচের পর লেভানদোভস্কি জানালেন বাঁচা-মরার এই লড়াইয়ে ইনজুরি নিয়ে খেলেছেন অনেকে, ‘ম্যাচের আগে অনেক সমস্যা ছিল। দলের অনেকে চোটগ্রস্ত ছিল। এমনকি আমিও। আমার হাঁটুতে সমস্যা ছিল। তবে আমরা ভুগেছি বলেই এখন উৎসবের উপলক্ষ চলে এসেছে। আমি তাই গর্বিত এবং আনন্দিত।’
অপর দিকে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে পারেনি মোহামেড সালাহর মিশর। প্লে-অফের ফিরতি লেগের ম্যাচটিতে সেনেগাল ১-০ গোলে জিতলেও প্রথম লেগে জিতেছিল মিশর। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে সমতা থাকায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। ভাগ্য পরীক্ষায় শেষ হাসি হাসতে পারেনি মোহামেড সালাহরা। সাদিও মানের সেনেগাল ৩-১ ব্যবধানে জিতে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে। এ যেন আফ্রিকা কাপ অব নেশন্সেরই পুনর্মঞ্চায়ন। সেখানেও এই সেনেগালের কাছে শুটআউটে কপাল পুড়ে মিশরের। সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণায় ভুগবেন বুঝি সালাহ। শুটআউটের প্রথমট স্পট কিকটি-ই মিস করেছেন তিনি।
রেডিওটুডে নিউজ/এসবি