লিটন ও সাকিবের বিদায়ের পর প্রতিরোধ গড়েছিলেন মুমিনুল হক ও মেহেদী হাসান মিরাজ। বুমরাহর শিকার হয়ে মিরাজের বিদায়ে ভাঙে সেই প্রতিরোধ। ৪২ বলে ২০ রান করেন মিরাজ। পরের ওভারেই তাইজুলকে (৫) ফেরান বুমরাহ। মিরাজ, তাইজুলের পর এরপর বাংলাদেশ হারায় হাসান মাহমুদকে। সিরাজের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরার আগে ৪ বলে ১ রান করেন তিনি।
শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন খালেদ। টেস্টে জাদেজার ৩০০তম শিকার হয়ে ফেরার আগে রানের খাতাই খুলতে পারেননি খালেদ। এতে প্রথম ইনিংসে ১০ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩। ১০৭ রানে অপরাজিত থাকেন মুমিনুল হক। ভারতের হয়ে ৩ উইকেট নেন বুমরাহ। ২টি করে উইকেট সিরাজ, অশ্বীন ও দীপের। একটি শিকার করেন জাদেজা।
এর আগে আজ দিনের শুরুতেই ১১ রান করা মুশফিককে বোল্ড করেন বুমরাহ। শুরুতে কিছুটা আক্রমণাত্মক থাকলেও সিরাজের কাছে উইকেট হারান লিটন। ৩০ বলে ৩ চারে ১৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর সাকিব আল হাসানও টিকতে পারেননি। অশ্বিনের বল হাওয়ায় তুলে দেন তিনি। পেছনে দৌড়ে গিয়ে অসাধারণ এক ক্যাচ নেন সিরাজ। ফলে ১৭ বলে ২ চারে ৯ রানেই থামে সাকিবের ইনিংস।
একপ্রান্ত আগলে রেখে এর মাঝে অবশ্য ফিফটি তুলে নেন মুমিনুল। এরপর মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে ছুটতে থাকেন সেঞ্চুরির পথে। প্রথম সেশনের শেষ ওভারে অশ্বিনকে সুইপে চার মেরে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন তিনি। হেলমেট খুলে মিরাজের সঙ্গে উচ্ছ্বাসই বলে দিচ্ছিল মুহূর্তটির জন্য কতটা ব্যাকুল ছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ক্যারিয়ারে এটি তার ১৩তম সেঞ্চুরি এবং বিদেশের মাটিতে দ্বিতীয়। সবশেষ গত বছরের জুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
কানপুর টেস্টে প্রথম দিন খেলা হয় মাত্র ৩৫ ওভার। বৃষ্টির কারণে অনেকটা আগেভাগেই শেষ হয় সেদিনের খেলা। দ্বিতীয় দিনের খেলার পুরোটাই ভেসে যায় বৃষ্টিতে। তৃতীয় দিন বৃষ্টি না হলেও ভেজা আউটফিল্ডের কারণে খেলা চালু করা সম্ভব হয়নি। তিন দিন বৃষ্টি বাধার পর রৌদ্রোজ্জ্বল কানপুরে শুরু হয় চতুর্থ দিনের খেলা।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম