কথায় নয়, কাজে প্রমাণ দিতে চান বাফুফের নবনির্বাচিত সভাপতি তাবিথ আউয়াল। বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে গঠনতন্ত্রে সংস্কারের তাগিদ এই বিএনপি নেতার কণ্ঠে। এদিকে সহ-সভাপতি পদের নির্বাচনে হেরে গেছেন সাবেক তারকা ফুটবলার শফিকুল ইসলাম মানিক আর রুম্মান বিন ওয়ালী সাব্বির।
বাফুফের নির্বাচনী ডামাডোলের সময় থেকেই সভাপতি পদ নিয়ে কোনো উত্তাপ ছিল না। শীর্ষ এই পদের জন্য হেভিওয়েট প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন অচেনা মিজানুর রহমান।
যে কারণে এবারের নির্বাচনে তাবিথের নিরঙ্কুশ জয়টা অনুমেয়ই ছিল। শনিবার (২৬ অক্টোবর) ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ত্রিশ মিনিট না পেরুতেই ঘোষণা এল বিপুল ভোটে বাফুফের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তাবিথ আউয়াল।
১২৮ কাউন্সিলরের মধ্যে ১২৩ জন এই বিএনপি নেতাকে ভোট দিয়েছেন। বড় জয়ের খবরে উল্লাসে মাতেন তাঁর ভক্তরা।
ফল প্রকাশের পর গণমাধ্যমে এসে দেশের ফুটবল উন্নয়নে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার ঘোষণা দিলেন নবনির্বাচিত সভাপতি। সঙ্গে তাগিদ দিলেন সংস্কারেরও।
তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘ফুটবল উন্নয়নে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবো অবশ্যই। জনগণের যে প্রত্যাশা সেটা আমরা অবিলম্বে পূরণ করবো।’
বাফুফের নবনির্বাচিত কমিটির কাজ কী হবে? বাংলাদেশের ফুটবলের হারানো গৌরব ফেরাতে আগামী চার বছর কোন দিকটায় গুরুত্ব দিতে চান শীর্ষ কর্তারা?
আরেকজন বলেন, ‘আমাদের কর্ম দিয়ে প্রথম কমিটি মিটিংয়ে জানিয়ে দিবো কীভাবে চলবে, কীভাবে কাজ করবে। মুখের কথা নয় কাজে বিশ্বাসী।’
এক সময় ফুটবল মাঠে আধিপত্য থাকলেও নির্বাচনের মাঠে নিষ্প্রভ সাবেক তারকা ফুটবলার শফিকুল ইসলাম মানিক। গেলবারের মতো এবারও হেরে গেছেন বাফুফে নির্বাচনে। সহ-সভাপতি পদে মানিক ছাড়াও জিততে পারেননি আরেক সাবেক ফুটবলার রুম্মান বিন ওয়ালী সাব্বির। এই পদে বাজিমাত করেছেন নাসের শাহরিয়ার জাহেদী।
১২৮ ভোটের মধ্যে ১১৫ ভোট পেয়েছেন এই ফুটবল সংগঠক। ১০৮ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন ওয়াহীদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি। সাব্বির আরেফ ৯০ আর ফাহাদ করিম ৮৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। এ চারজনই প্রথমবার সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব নিচ্ছেন। একক প্রার্থী হওয়ায় সিলেকশনেই সিনিয়র সহ-সভাপতি হলেন ইমরুল হাসান। নির্বাচনে অনুপস্থিত ছিলেন ৫ ভোটার।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম