বৃহস্পতিবার,

২৫ এপ্রিল ২০২৪,

১২ বৈশাখ ১৪৩১

বৃহস্পতিবার,

২৫ এপ্রিল ২০২৪,

১২ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

জাতীয় কবি নজরুলের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী আজ

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৬:০৬, ২৫ মে ২০২২

আপডেট: ১৬:৫৯, ২৫ মে ২০২২

Google News
জাতীয় কবি নজরুলের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী আজ

আজ বুধবার (২৫ মে) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী। অবিভক্ত বাংলার (বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ) বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া গ্রামে ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (১৮৯৯ সালের ২৫ মে) জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার ডাক নাম ছিল ‘দুখু মিয়া’। তিনি ছিলেন বাংলা কবিতার একমাত্র বিদ্রোহী ও গানের বুলবুল। তার বাবার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মায়ের নাম জাহেদা খাতুন।

জাতীয় পর্যায়ে কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এছাড়া কুমিল্লার বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন প্রাঙ্গণে (টাউন হল) বেলা ১১টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

দিনটি উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতার ছাড়াও বেসরকারি বিভিন্ন টেলিভিশন ও বেতার বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে। কবির জন্মদিনকে সামনে রেখে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

সৃষ্টিশীল এক অনন্য প্রতিভার নাম, কাজী নজরুল ইসলাম। যিনি একাধারে কবি, সাহিত্যিক, গীতিকার, নাট্যকার, চলচ্চিত্র অভিনেতা। শিল্পকলার নানান শাখায় ছিল তার অবাধ স্বচ্ছন্দ বিচরণ।

ক্ষণজন্মা এ প্রতিভার জন্ম, ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোলের চুরুলিয়া গ্রামে। শৈশব-কৈশোর কিংবা তারুণ্য, জীবনের পরতে পরতে তার সংগ্রাম। জীবনের বিভিন্ন সময়ে জড়িয়েছিলেন নানা পেশায়। ১৯১৭ সালে যোগ দেন সেনাবাহিনীতে। অংশ নেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধেও।

তৎকালীন প্রভাবশালী কবি-সাহিত্যিকদের সংস্পর্শে আসেন তিনি। ১৯২২ সালে প্রকাশ করেন ধূমকেতু পত্রিকা। ব্রিটিশ শাসকদের চক্ষুশূল তো ছিলেন শুরু থেকেই এরপর “আনন্দময়ীর আগমনে” কবিতার জন্য নজরুলকে দেয়া হয় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড। মাত্র ২২ বছর ব্যাপ্তির লেখক জীবনে তিনি রচনা করেন প্রায় ৩ হাজার গান, লিখেছেন অসংখ্য কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস।

সাহিত্যের পাশাপাশি সংগীত ও চলচ্চিত্রে, পরিচালনা করেন। তার পরিচালিত চলচ্চিত্র “ধ্রুব”তে অভিনয়ও করেন। তাই তো শুধু কবি পরিচয়েই আবদ্ধ নন নজরুল। বেধেছেন সুরের মায়াজাল; করেছেন অভিনয়, সম্পাদনা করেছেন পত্রিকা। আসানসোলের রুটি বানানো ছেলেটা এখনও বিশাল এক প্রতিষ্ঠান। না থেকেও যার উপস্থিতি প্রতিদিন।

১৯৭২ সালে কবি নজরুলকে সপরিবারে নিয়ে আসা হয় স্বাধীন বাংলাদেশে। এরপর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশেই ছিলেন। ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট তৎকালীন পিজি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। কবির ইচ্ছানুসারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে তাকে সমাধিস্থ করা হয়।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের