
সিলেটে এক তরুণীকে আড়াই মাস আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর অভিযুক্তদের হুমকিতে শহর ছেড়েছেন ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা।
পুলিশ বলছে, অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে। এদিকে এ ঘটনার পর অভিযুক্ত আব্দুস সালামকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সিলেট নগরীর ঘাসিটুলায় মতিন মিয়ার কলোনিতে বাবা মায়ের সাথে থাকতেন নির্যাতিত ওই তরুণী। সেই সুবাদে প্রতিবেশী রেখা বেগমের সাথে পরিবারটির সখ্যতা হয়। মেয়েকে গত ৭ জানুয়ারি রেখা বেগমের কাছে রেখে গ্রামের বাড়িতে যান তার বাবা-মা। এই সুযোগে মেয়েটিকে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সালামের হাতে তুলে দেন রেখা।
পরিবারটি জানায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের মেয়েকে একটি কক্ষে আটকে রেখে টানা ২২ দিন ধর্ষণ করে আব্দুস সালাম, মনাফসহ একাধিক ব্যক্তি। এরপর হবিগঞ্জের বাহুবলে দুই মাস ধরে তার ওপর চলে নির্যাতন। গত ২৬শে মার্চ কৌশলে সিলেটে পালিয়ে আসে ওই তরুণী। এরপরই আব্দুস সালাম, মনাফ, মতিন মিয়া ও রেখাসহ কয়েকজনের নামে মামলা করা হয়।
তবে মামলা দায়েরের পর থেকেই পরিবারটিকে নানা হুমকি দিচ্ছেন অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা। ভয়ে নিজেদের বাসাও ছাড়তে হয়েছে পরিবারটিকে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, আসামিদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশের একাধিক দল। দ্রুতই অভিযুক্ত পুলিশের হাতে ধরা পড়বে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু জানান, এ ঘটনার পর অভিযুক্ত আব্দুস সালামকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম