গত ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানার সামনে লাশ পোড়ানোর ঘটনায় সম্পৃক্ত ঢাকা উত্তরের গোয়েন্দা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩। গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর আফতাবনগর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাভারের আশুলিয়ায় ভ্যানে গুলিবিদ্ধ লাশের স্তূপ করার একটি লোমহর্ষক ভিডিও ভাইরাল হয় নেট দুনিয়ায়। এরপর গাড়িতে সেই লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার তথ্য মেলে।
ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিও থেকেই মাথায় হেলমেট পরিহিত পুলিশ সদস্য ঢাকা উত্তরের গোয়েন্দা পুলিশের আরাফাত হোসেনকে শনাক্ত করা হয়।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাভার ও আশুলিয়ায় ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন ৭৫ জন। গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন সাড়ে ৪ শতাধিক মানুষ। যাদের অনেকেই চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন।
এদিকে ৩০ আগস্ট সারা দিন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়। ভিডিওটি আশুলিয়া থানার সামনের ভবনের দ্বিতীয়তলা থেকে ধারণ করা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ভাইরাল হওয়া ১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, দুজন পুলিশ সদস্যের একজন হাত ও একজন পা ধরে ভ্যানে একটি লাশ নিক্ষেপ করছেন। এর আগেই ভ্যানে লাশের স্তূপ করে কাপড় দিয়ে ঢেকে দেন তারা। সর্বশেষ লাশটি তুলে একটি ব্যানার দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। শেষে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি দেখা মেলে।
ভিডিওর ১ মিনিট ৬ সেকেন্ডে একটি পোস্টার দেখা যায়, যা স্থানীয় ধামসোনা ইউনিয়ন সভাপতি প্রার্থী ও ৭নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী আবুল হোসেনের। সেই পোস্টারটি দেখে নিশ্চিত হওয়া যায় ভিডিওটির ঘটনাস্থল আশুলিয়া থানার আশপাশে।
মহাসড়ক থেকে থানার দিকে অগ্রসর হয়ে এসবি অফিসের দিকে চৌরাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। ভেতরে ভিডিওতে থাকা বালুভর্তি বস্তাগুলো এসবি অফিসের দিকে যেতে থাকা ভবনের সামনে স্তূপ করা ছিল। কিন্তু থানা পরিষ্কারের সময় সেগুলো অপসারণ করা হয়েছে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম