
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বিকৃত হয়ে যাওয়া পাঁচ মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাব।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এ তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান। তিনি বলেন, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের পরদিন ২২ জুলাই ঢাকা সিএমএইচে রক্ষিত অশনাক্ত মরদেহ ও দেহাংশ থেকে মোট ১১টি ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেন সিআইডির ডিএনএ ল্যাবের সদস্যরা। এই নমুনাগুলো বিশ্লেষণ করে মোট পাঁচজন নারীর ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়।
সংগৃহীত নমুনা থেকে প্রস্তুত প্রোফাইল ও ঘটনার পর থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত পাঁচটি পরিবারের মোট ১১ জন সদস্যের প্রোফাইল বিশ্লেষণ করে পাঁচটি মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
১. একটি নমুনা থেকে একজন নারীর ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়। যা দাবিদার মো. ফারুক হোসেন ও সালমা আক্তার দম্পতির কন্যাসন্তান ওকিয়া ফেরদৌস নিধির প্রমাণিত হয়।
২. ছয়টি নমুনা থেকে একজন নারীর ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়। যা দাবিদার মো. বাবুল ও মাজেদা দম্পতির কন্যাসন্তান লামিয়া আক্তার সোনিয়ার প্রমাণিত হয়।
৩. দুটি নমুনা থেকে একজন নারীর ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়। যা দাবিদার মো. আব্বাস উদ্দিন ও মোসা. মিনু আক্তার দম্পতির কন্যাসন্তান আফসানা আক্তার প্রিয়ার প্রমাণিত হয়।
৪. একটি নমুনা থেকে একজন নারীর ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়। যা দাবিদার মো. শাহাবুল শেখ ও মিম দম্পতির কন্যাসন্তান রাইসা মনির প্রমাণিত হয়।
৫. একটি নমুনা থেকে একজন নারীর ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়। যা দাবিদার আব্দুল কাদির ও উম্মে তামিমা আক্তার দম্পতির কন্যাসন্তান মারিয়াম উম্মে আফিয়ার প্রমাণিত হয়।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম