
রংপুরের পীরগাছায় আটজনের পর এবারে কাউনিয়া ও মিঠাপুকুর উপজেলায় আরও তিনজনের অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হয়েছে। বুধবার রাতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর মধ্যে দু’জন কাউনিয়ার এবং একজন মিঠাপুকুরের বাসিন্দা। এ নিয়ে জেলায় অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ জনে।
কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুজন সাহা বলেন, কাউনিয়ায় অ্যানথ্রাক্স উপসর্গ আছে এমন ছয়জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে দু’জনের অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হয়েছে।
মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, কয়েকদিন আগে ইমাদপুর ইউনিয়নের আমাইপুর গ্রামে একটি গরু অসুস্থ হলে জবাই করা হয়। পরে ওই মাংস কাটাকাটি করার পর গ্রামের ৫ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ দেখা দেয়। এর পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তারা চিকিৎসা নিতে আসলে সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। এই ৫ জনের মধ্যে একজন পুরুষের অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, তবে আক্রান্ত রোগীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই উল্লেখ করে সূত্র জানায়, হাসপাতালের কর্মী রোগীর বাসায় গিয়ে চিকিৎসা দেবেন।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, চলতি বছরের জুলাই ও সেপ্টেম্বরে রংপুরের পীরগাছায় প্রথম অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ নিয়ে দু’জন মারা যান। একই সময়ে উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে অর্ধশত ব্যক্তির শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ দেখা যায়। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে অসুস্থ গরুর মাংসের নমুনা পরীক্ষা করে অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত করেছিল প্রাণিসম্পদ বিভাগ। পরে সরকারের রোগতত্ত, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) একটি প্রতিনিধিদল ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর পীরগাছা সদর এবং পারুল ইউনিয়নের অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ থাকা ১১ জন নারী-পুরুষের নমুনা সংগ্রহ করেছিল। এর মধ্যে আটজনের অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হয়।
জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন রুহুল আমিন বলেন, প্রতিটি উপজেলাকে সতর্ক করা আছে এবং অ্যানথ্রাক্স চিকিৎসার গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। এটার জন্য- যে অ্যান্টিবায়োটিক বা চিকিৎসাব্যবস্থা, সেটাও পর্যাপ্ত আছে। এ মুহূর্তে অসুস্থ প্রাণি জবাই না করা, নিজেরা না খাওয়া, লুকিয়ে বিক্রি না করার জন্য জনগণকে সচেতন করা জরুরি। এছাড়া অসুস্থ প্রাণি মারা গেলে মাটিতে পুঁতে ফেলা জরুরি।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম