অবৈধভাবে সমুদ্রপথে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এতে একই গ্রামের আরও ছয় যুবক এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে মুকসুদপুরের ননীক্ষির ইউনিয়নের পশ্চিম লওখণ্ডা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্বজনরা প্রিয়জনদের মৃত্যু ও নিখোঁজ হওয়ার খবরে ভেঙে পড়েছেন, চলছে আহাজারি।
মৃত দুই যুবক হলেন—পশ্চিম লওখণ্ডা গ্রামের জাহিদ শেখের ছেলে আনিস শেখ এবং একই গ্রামের আকোব আলী শেখের ছেলে এনামুল শেখ।
এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন, পশ্চিম লওখণ্ডা গ্রামের আওলাদ শেখের ছেলে ইব্রাহিম শেখ, একই গ্রামের হায়দার শেখের ছেলে ধলা শেখ, ইকরাম মীনার ছেলে দুলাল মীনা, হায়দার মীনার ছেলে আশিক মীনা, খালেক মোল্যার ছেলে সোহেল মোল্যা এবং কাশালিয়া ইউপির গুনহর গ্রামের হাফিজ মীনার ছেলে নিয়াজ মীনা।
মৃত এনামুল শেখের বাবা আকোব আলী শেখ জানান, গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে লিবিয়ার আল খুমস উপকূল অঞ্চল থেকে তার ছেলেসহ কয়েকজন একটি ট্রলারে ইতালির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। মাঝপথে কোস্টগার্ড তাদের ধাওয়া করলে ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে তার ছেলে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, ‘গত এক মাস আগে মাদারীপুরের দালাল এনামুলের মাধ্যমে ২১ লাখ টাকার বিনিময়ে আমার ছেলেকে লিবিয়া পাঠিয়েছিলাম। এখন ২১ লাখ টাকার বিনিময়ে আমার ছেলে লাশ হলো। সরকারের কাছে দাবি, আমার ছেলের লাশটা দেশে আনতে ব্যবস্থা করে দিন।’
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. আরিফ-উজ-জামান বলেন, ‘ঘটনাটি আমরা জেনেছি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, গত ১৪ নভেম্বর রাতে লিবিয়ার আল খুমজ এলাকায় ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে চার বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। অবৈধপথে ইউরোপ যাত্রার এই প্রবণতা বহু তরুণের জীবন কেড়ে নিচ্ছে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

