দুটি ট্রলারসহ ১২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

বৃহস্পতিবার,

২৭ নভেম্বর ২০২৫,

১৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

বৃহস্পতিবার,

২৭ নভেম্বর ২০২৫,

১৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

Radio Today News

দুটি ট্রলারসহ ১২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৮:০৭, ২৭ নভেম্বর ২০২৫

Google News
দুটি ট্রলারসহ ১২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিনের অদূরে মাছ ধরার সময় বাংলাদেশি ১২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদিয়ার পূর্বে সাগরে মাছ শিকারের সময় তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান সেন্টমার্টিন ফিশিং ট্রলার সমবায় সমিতির সভাপতি আজিম উদ্দিন।

ট্রলার দুটি সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা নুর আহমেদ ও মো. ইলিয়াসের মালিকানাধীন।

আটক জেলেরা হলেন- সেন্টমার্টিনের মো. কবির, আব্দুর রহমান, মো. লেডু মিয়া মো. রমিস আহমদ, আব্দুর রশিদ, মো. জিয়াউর রহমান,আমানুল্লাহ, ওসমান, আবু তাহের, আব্দুল্লাহ এবং শাহ পরীর দ্বীপের বাসিন্দা দুজনের মধ্যে মো. আলমের পরিচয় জানা গেলেও আরও একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি

সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা জেলে আব্দুল গফুর জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদিয়া এলাকায় জেলেরা মাছ ধরছিলেন। এ সময় সেন্টমার্টিনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুর আহমেদের মালিকানাধীন ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হলে নিয়ন্ত্রণ হারায়। এক পর্যায়ে স্রোতের নির্দিষ্ট গন্তব্য থেকে সরে অন্যদিকে চলে যায়। এসময় আরাকান আর্মির সদস্যরা ট্রলারে থাকা ৬ জেলেকে ধরে নিয়ে যায়।

অন্যদিকে সেন্টমার্টিন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. ইলিয়াসের মালিকানাধীন আরও একটি ট্রলারে থাকা ৬ জেলেকে ট্রলারসহ আরাকান আর্মি ধরে নিয়ে গেছে।

আব্দুল গফুর আরও বলেন, ইলিয়াসের মালিকানাধীন ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরে কোন অংশ ধরে নিয়ে গেছেন তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন জানান, স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোরে দুটি ট্রলারসহ ১২ জেলেকে আরাকান আর্মির সদস্যরা ধরে নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে বিজিবিসহ সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে। তবে মাছ ধরার সময় জেলেদেরকে সর্তক থাকতে হবে। যাতে বাংলাদেশ সীমানা তারা অতিক্রম না করেন।

এদিকে মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক’ জানিয়েছে, ২৮ অক্টোবর থেকে আরাকান আর্মির উপকূলীয় নিরাপত্তা ইউনিট সমুদ্রপথে টহল জোরদার করেছে। টহলের সময় আরাকান রাজ্যের জলসীমা অতিক্রম করে মাছ ধরতে থাকা কয়েকটি বাংলাদেশি ট্রলার শনাক্ত করা হয়।

এ ছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত অন্তত ১৮৮ বাংলাদেশি জেলে ও ৩০টি নৌকা আটক করা হয়; যাদের পরবর্তীতে মুক্তি দেওয়া হয় বলে জানায় সংবাদমাধ্যমটি।

সবশেষ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ থেকে আরাকান রাজ্যের জলসীমায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে দুটি ট্রলারসহ ১২ জেলেকে আটকের বিষয়টিও প্রকাশ করেছে ‘গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক’।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের