আজকাল থাইরয়েড কোন বয়স দেখে হয় না। যে কোন বয়সেই শরীরে (Health) দানা বাদে এই রোগটি। তাছাড়াও থাইরয়েড অশোক মূলত ক্রনিক জনিত। তাই আজকাল বেশিরভাগ কিশোরীরা ভুগছেন এই থাইরয়েডের সমস্যা। এছাড়াও জ্বালায় যায় পুরুষের তুলনায় মহিলারা বেশি আক্রান্ত হয় এই রোগে। কারণ থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে যদিও হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায় অথবা কমে যায়, তখনই গন্ডগোল বাঁধে রোগের। পাশাপাশি ওজন বেড়ে গেলে, কমে গেলে অথবা অনিয়মিত ঋতুস্রাব ও ক্লান্তি দেখা দিলে থাইরয়েড অনেক সময় ধরা পড়ে। থাইরয়েড ধরা পড়লে যেমন প্রতিদিন ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন। তেমনি বেশ কিছু পানীয় খেতে বলে। কোন পানীয় গুলো খেলে পড়ে আপনার থাইরয়েড হাতে থাকবে তা একবার জেনে নিন।
দারুচিনির জল: থাইরয়েড থাকলে পরে পান করতে পারেন দারুচিনির জল। কারণ দারুচিনির জল পান করলে পরে থাইরয়েড গ্রন্থির প্রদাহ কমে। পাশাপাশি মেটাবলিজম ডিসঅর্ডারে দারুন কাজ দেয় এই পানীয়। পাশাপাশি এই মসলা রক্তে শর্করার মাত্রা ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সকাল বেলা খালি পেটে এই জল পান করতে বলে। কারণ এই জল পান করলে থাইরয়েডের বাড়বাড়ন্ত থেকে মুক্তি পাওয়া যায় (Health)।
অশ্বগন্ধার চা: আয়ুর্বেদে একাধিক রোগের চিকিৎসার অন্যতম উপাদান হল অশ্বগন্ধা। এই ভেষজ উপাদান মানসিক চাপ কমাতে ও হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি হাইপোথাইরয়েডজিমে অশ্বগন্ধা চা দারুন ভাবে কাজ করে। চা পান করলে পরে আপনার ঘুমের সমস্যা দূর হবে। পাশাপাশি বিপাক ক্রিয়ার হার উন্নত হবে।
অ্যালোভেরা জুস: থাইরয়েড থাকলে পরে আপনি খেতে পারেন অ্যালোভেরার জুস। কারণ এটি থাইরয়েড গ্রন্থির কোষগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এই পানিও শরীরে জমে থাকা টক্সিন বের করে দেয়। লিভার ও পাচনতন্ত্রের জন্য ভীষণ উপকারী এই জুস।
মোরিঙ্গার চা: মরিঙ্গার চায়ের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই চা থাইরয়েড টিস্যুর অক্সিডেটিকস স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এই পানীয় পান করলে পরে ক্লান্তি ও দুর্বলতা দূর হয়।
পালং শাকের স্মুদি: আপনিও যদি থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগতে থাকেন তাহলে পান করুন পালং শাকের স্মুদি। কারণ এর মধ্যে রয়েছে ফোলেটের মতন প্রয়োজনীয় উপাদান। যা হরমোনাল ও মেটাবলিজম ব্যালেন্স বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া নিয়মিত এই পানীয় খেলে পরে থাইরয়েডের সমস্যা থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারবেন (Health)।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

