জামালপুর জেলা কারাগারে থুথু ফেলাকে কেন্দ্র করে দুই হাজতির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় একজন মারা গেছেন। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হাজতি হযরত। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা কারাগারের ভেতরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. পাগলা হযরত (২৫) জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চেংটিমারি গ্রামের মো. ইমান হোসেনের ছেলে। তিনি বকশীগঞ্জ থানার একটি মামলায় আসামি হয়ে কারাগারে ছিলেন। এ ঘটনার অপর হাজতি মো. রহিদুর মিয়া (৪০) বকশীগঞ্জের কামালপুর বালুরগাঁও গ্রামের মৃত ছামিউল হকের সন্তান।
কারাগারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল বেলা ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে কারাগারের ভেতরে কাশি ও থুথু ফেলাকে কেন্দ্র করে পাগলা হযরতের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও তর্কাতর্কি শুরু হয় রহিদুর মিয়ার। এক পর্যায়ে রহিদুর মিয়া শৌচাগারের দরজার একটি কাঠের টুকরা দিয়ে পাগলা হযরতের মাথায় পরপর বেশ কয়েকবার আঘাত করেন। পরে দায়িত্বরত কারারক্ষী ও অন্যান্য হাজতিরা আহত মো. পাগলা হযরতকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন পাগলা হযরত।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জামালপুর জেলা কারাগারের জেলার লিপি রানী সাহা মোবাইল ফোনে বলেন, মারা যাওয়া পাগলা হযরতের মরদেহ এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে ঢাকা জেলা কারাগার। আর অপর হাজতি রহিদুর মিয়া জামালপুর কারাগারে রয়েছেন।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

