৭ ঘণ্টায়ও উদ্ধার হয়নি গভীর নলকূপে পড়ে যাওয়া শিশুটি

বৃহস্পতিবার,

১১ ডিসেম্বর ২০২৫,

২৬ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

বৃহস্পতিবার,

১১ ডিসেম্বর ২০২৫,

২৬ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

Radio Today News

৭ ঘণ্টায়ও উদ্ধার হয়নি গভীর নলকূপে পড়ে যাওয়া শিশুটি

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২২:১৫, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

আপডেট: ২২:১৭, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

Google News
৭ ঘণ্টায়ও উদ্ধার হয়নি গভীর নলকূপে পড়ে যাওয়া শিশুটি

রাজশাহীর তানোরে প্রায় ৩০ ফুট গভীর নলকূপে পড়ে যাওয়া শিশুটিকে উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। এ ছাড়া খননযন্ত্র দিয়ে মাটি খোঁড়ার কাজ করা হচ্ছে। পাশাপাশি শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখতে অক্সিজেন সরবরাহও অব্যাহত রাখা হয়েছে।

ফায়ার সাভির্সের রাজশাহী উপপরিচালক দিদারুল আলম বলেন, ‘প্রায় ৭ ঘণ্টা যাবৎ উদ্ধারকাজ চলছে।

রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও তানোর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা একযোগে কাজ করছেন। ভেকু মেশিন দিয়ে আমরা গর্তে পাশে খনন করছি। প্রায় ২০ ফুট মাটি খনন হয়ে গেছে। আশা করছি, হয়তো আরো ১৫ থেকে ২০ ফুট মাটি খনন করতে হতে পারে।

আল্লাহ সহায় থাকলে শিশু বাচ্চাটিকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হবে।’ 
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে সাজিদ নামের দুই বছর বয়সী শিশুটি গভীর গর্তে পড়ে যায়। শিশুটি তার মায়ের হাত ধরে কেটে নেওয়া ধানের ক্ষেতে হাঁটছিল। হঠাৎ সে গর্তে পড়ে যায়।

সাজিদ উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের রাকিবের ছেলে। রাকিব ঢাকায় একটি জুট মিলের ব্যবস্থাপক হিসেবে চাকরি করেন। তিনি এখনো বাড়িতে পৌঁছাতে পারেননি।

শিশু সাজিদের মা রুনা খাতুন বলেন, ‘মাটিতে আটকে যাওয়া ট্রলি দেখতে এসে আমার বাচ্চাটি আমার কোল থেকে নেমে যায়। গর্তের মধ্যে পড়ে গিয়ে আমার ছেলে মা মা করে জোরে জোরে কাঁদছে।

আমি তাকে খুঁজছি কিন্তু দেখতে পাচ্ছি না। অবেশেষে গর্তের মধ্যে থেকে কান্নার শব্দ শুনতে পাই। মা হয়ে দাঁড়িয়ে থেকেও আমার বুকের ধনকে গর্ত থেকে আমি তুলতে পারিনি। আমার ছেলের জন্য আমি বসে আছি কখন আমার ছেলে আমার কোলে আসবে।’
তানোর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, শিশুটিকে উদ্ধারের বিষয়ে আমাদের পুলিশ প্রশাসন থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা করা হচ্ছে।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের