ছবি: রেডিও টুডে প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ
রাত পোহালেই ঈদ। শেষ সময়ে ঘরমুখো মানুষের চাপ এখন আরও বাড়ছে। ভোর রাত থেকে ছিল এখানে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে ভিজেই ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন তারা ।
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে করোনা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ ঝুঁকিতেই পদ্মা পারি দিতে মরনপণ চেষ্টা। ফেরি ও ছোট লঞ্চ যাত্রী পার কুলিয়ে উঠতে পারছে না।
ফেরিতে তিল ধারনের জায়গা নেই, যাত্রীর চাপে যান উঠতেই পারেনি ফেরিতে। পুরোঘাট জুড়ে হাজারো বাইক আর মানুষ। শ্রাবনের বৃষ্টিতে কাক ভেজা হয়েই তারা ঘাটের পন্টুনে অবস্থান করছে। তবু সিরিয়াল ছাড়ছেন না জায়গা দখলের ভয়ে। মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটের এমন অস্বাভাবিক চিত্র। ছোট ছোট লঞ্চেও এমন হুড়োহুড়ি, কার আগে কে উঠবে প্রতিযোগিতা। ঘাটেও রয়েছে অব্যবস্থাপনা। লাশবাহী গাড়ি পর্যন্ত সরতে পারছে না। স্বাস্থ্যবিধিও যেন উধাও।
বিআইডব্লিউটিসির সহ মহাব্যবস্থাপক মো. সফিকুল ইসলাম জানান, শিমুলিয়ায় যানবাহনের চাপ এড়াতে তিনটি ফেরি যুক্ত হয়েছে। কিন্তু তারপরও কুলিয়ে উঠতে পারছে না। স্বাস্থ্য বিধি না মানার ব্যাপারে নানা অজুহাত যাত্রীদের। ধাক্কায় রোরো ফেরি শাহ মখদুমের তলা ফেটে পানি উঠছে। ঢাকা-মাওয়া সুপার এক্সপ্রেসওয়ের সুবাদে সহজে যাত্রীরা পৌছানোর কারণেই শিমুলিয়ায় ঠাসা ভিড়। যাত্রীবাহী যানকে প্রাধান্য দেয়ায় পণ্যবাহী ট্রাকের লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। আর নাইটকোচ ও শতশত কার-মাইক্রো ফেরির অপেক্ষায়। পদ্মায় প্রবল স্রোত থাকায় বাংলাবাজার পৌছাতে সময় লাগছে দ্বিগুণ। হিমশিম অবস্থায় ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা চালছে।
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার এই নৌরুটে ২০ টির মধ্যে ফেরি চলছে ১৫ টি এবং ৮৭টি ছোট লঞ্চের মধ্যে সচল ৮৬টি।