শনিবার,

২৭ জুলাই ২০২৪,

১২ শ্রাবণ ১৪৩১

শনিবার,

২৭ জুলাই ২০২৪,

১২ শ্রাবণ ১৪৩১

Radio Today News

নিম্নস্তরের সিগারেটে ঝুঁকিতে দরিদ্র মানুষ

রেডিও টুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২০:৫২, ২১ মে ২০২৪

Google News
নিম্নস্তরের সিগারেটে ঝুঁকিতে দরিদ্র মানুষ

নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম না বাড়ায় নিম্নআয়ের মানুষেরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম সঠিকভাবে না বাড়ার কারণে ধূমপায়ী কমানোর লক্ষ্যও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়িয়ে ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে নিয়ে গেলে দেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমবে রাজস্ব বাড়বে। 

পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে দেশে ধূমপায়ীর প্রায় ৮০ শতাংশই নিম্নস্তরের সিগারেটের ভোক্তা এবং এরা সবাই নিম্ন আয়ের মানুষ। আর নিম্ন মধ্যম স্তর মিলিয়ে সিগারেটের বাজার ৯০ শতাংশ। তাই বিশ্লেষকরা বলছেন, নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বাড়ানোর মাধ্যমে স্বাস্থ্যঝুঁকি যেমন কমানো সম্ভব, তেমনি রাজস্ব আয়ও বাড়ানো যায়।

এনবিআরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০০৬-০৭ সালে নিম্নস্তরের সিগারেটের মার্কেট শেয়ার ছিল মাত্র ২৫ শতাংশ। যা ব্যাপকহারে বেড়ে ২০২০-২১ সালে ৭৫-৮০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অথচ সে হারে বাড়েনি নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই হার বৃদ্ধি দেখেই বোঝা যায়, নিম্নস্তরের সিগারেটের ভোক্তা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। এটি জোর দিয়ে বলা যায়, নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বৃদ্ধি পেলে এই হার এত বৃদ্ধি পেতো না। তাই নিম্নআয়ের মানুষকে সিগারেট থেকে দূরে রাখতে দাম বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।

তারা বলছেন, গত অর্থবছরে নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বাড়ানো হয়েছিল টাকা। ফলে স্তরে প্রবৃদ্ধি বাড়বে আনুমানিক প্রায় ১৩ শতাংশ, যা প্রায় দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকার সমান। তাই নিম্নস্তরের প্রতি ১০ শলাকার এক প্যাকেট সিগারেটের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা বাড়ানোর কথা বলছেন বিশ্লেষকরা।  বছর বাজেটের আগে একই দাবি করেছে ধূমপানবিরোধী একাধিক সংগঠনও।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক . নাসরিন সুলতানা মনে করেন, দাম বাড়লে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমে আসবে। কারণ নিম্নস্তরের সিগারেটের ৮০ শতাংশ ভোক্তাই নিম্ন আয়ের মানুষ। তাই দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ধূমপায়ীর সংখ্যাও কমে আসবে। ফলে অর্থনীতির মন্দার ভেতরেও রাজস্ব প্রবাহ বাড়বে। যা দেশের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয়ের বেশ বড় একটি উৎস।

সম্প্রতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবধরনের তামাকপণ্যের দাম কার্যকরভাবে বাড়ানোর দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে গবেষণা অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স-আত্মা। সংবাদ সম্মেলনে, নিম্নস্তরের প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ৪৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০ টাকা নির্ধারণ করার দাবি জানানো হয়।  

বিশ্লেষকেরা জানান, নিম্নআয়ের মানুষ এমনিতেই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকে। নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বাড়ালে এসব সিগারেট নিম্নআয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে থাকবে।  

 

 

 

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের