বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় ‘খ’(৬ষ্ঠ থেকে ১০ শ্রেণি) বিভাগে দেশ সেরা হয়েছে তা’মীরুল মিল্লাত মহিলা কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান। এ গ্রুপে রচনার বিষয় ছিলো ‘খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু’। এ গ্রুপে দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে একই মাদরাসার মারিয়াম আক্তার ও কক্সবাজার আদর্শ মহিলা কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থী উমাইর নাবিহা।
নুসরাত ওই মাদরাসায় বর্তমানে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে। তার বাবার নাম মো. মোস্তাবশির রহমান ও মায়ের নাম সালমা জাহান। ইতোপূর্বে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিসহ অসংখ্য প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে সে।
এছাড়া এবতেদায়ী শিক্ষার্থীদের ‘ক’ শাখায় ‘বঙ্গবন্ধুর শৈশবকাল’ রচনা লিখে প্রথম স্থান অধিকার করেছে খুলনা নেছারিয়া কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থী রাহাত হাসান, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে পাঁলাইশ, চট্টগ্রামের জামেয়া আহমাদীয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থী সামিয়ুন ছিদ্দীক এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন সারিয়াকান্দি, বগুড়ার শোলারতাইড় কুতুবপুর কে, ইউ দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থী মো. শাহাদাত হোসেন সাগর।
এ প্রতিযোগিতায় ‘গ’ গ্রুপে (আলীম শ্রেণি) ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কর্মময় জীবন ও সোনার বাংলা বিনির্মাণে তাঁর অবদান’আরবী রচনা লিখে প্রথম স্থান অধিকার করেছে ভাংগা, ফরিদপুরের ইক্বামাতে দ্বীন কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থী মো. হাবীবুর রহমান, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে কোম্পানীগঞ্জ, নোয়াখালীর বামনী আছিরিয়া ফাযিল মাদরাসার শিক্ষার্থী ফারিহা ফেরদাউস এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে ঢাকার নয়াটোলা কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থী ফাতিমা নওশীন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বকশীবাজারের মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে এক অনুষ্ঠানে এসব বিজয়ীদের মধ্যে সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদপত্র , বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থ ও নগদ অর্থ তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর কায়সার আহমেদ। এছাড়া রেজিস্ট্রার মো. ছিদ্দিকুর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. কামাল উদ্দীন, উপ-পরিদর্শক মো. হোসেনসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে এই প্রতিযোগিতার আহ্ববায়ক মো. হোসেন জানান, এ প্রতিযোগিতায় সারাদেশে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্য থেকে ৩টি গ্রুপে মোট ৯ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। বাছাইকমিটি অত্যন্ত নিখুঁতভাবে কোড নম্বরের ভিত্তিতে লেখাগুলো মূল্যায়ন করেন। শিক্ষার্থীদের মেধা ও সৃষ্টিশীলতার বিকাশে আগামীতে এ ধরণের প্রতিযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
রেডিওটুডে নিউজ/এমএস