
কোরিয়ান সিনেমা টোয়েন্টি সেঞ্চুরি গার্ল
বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যেও দারুণ সাড়া ফেলেছে সিনেমাটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই।কোরিয়ার ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীর প্রথম প্রেমের গল্প নিয়ে সিনেমা 'টোয়েন্টি সেঞ্চুরি গার্ল' মুক্তির পরপরই নেটফ্লিক্সে বিশ্বজুড়ে আলোচনায় এসেছে। নেটফ্লিক্সে দর্শকদের ভিতরে সবচেয়ে বেশি দেখা সিনেমার শীর্ষে রয়েছে এই সিনেমাটি। এবং বিশ্বজুড়ে ৬ নম্বর অবস্থানে রয়েছে এটি।
কোরিয়ান মুভি এন্ড ড্রামা লাভার নামক একটি ফেসবুকে সিনেমাটি দেখে স্বর্ণালী ত্রিপুরা নামক এক দর্শক তার মন্তব্যে লিখেছেন, কি আর বলব এই মুভির কথা। এত ভালো লেগেছে। কি নেই মুভিতে। মজার দৃশ্য, রোমান্টিক দৃশ্য, অ্যাকশন,হাসি কান্না সবই আছে। মাঝখানের প্লট এত টুইস্ট এখনো মুভি থেকে বেরই হতে পারিনি।
আরেক দর্শক তাবাসসুম তৃষ্ণা তিনি লিখেছেন, প্রথম প্রেমের অনুভূতি কখনো কোনো কিছুর সাথে তুলনা করা যায় না। কারন এই প্রেম সব সময় বিশেষ। জীবনের প্রথম প্রেম কেন যেন পূর্ণতা পায় না। শেষটা সবসময়ই করুন হতে দেখা যায় আর ১/২ বছরের প্রেম হলেও কেউ কেউ এটাকে বুকে ধারণ করে রাখে ১৫ বছর কিংবা আজীবন।অনেকদিন পর কোন মুভি এত পরিমাণে ভালো লেগেছে। আর তার সাথে কান্না তো আছেই। '
সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্র না বোরার ভূমিকায় যিনি অভিনয় করেছেন, তার নাম কিম উ -জুং। নির্মাতা বা উ -রে নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে চরিত্রটি নির্মাণ করেছেন। এই সিনেমায় তুলে আনা হয়েছে ১৯৯৯ সালের গল্প।
সিনেমার চরিত্র গুলো যেন কিশোর-কিশোরী দর্শকদের সাথে মিশে গেছে। সেই সাথে প্রাপ্তবয়স্কের হৃদয়ে ফেলে রেখে আসা স্মৃতিগুলো যেন উকি দিয়েছে। ৩৯ বছর বয়সী নির্মাতা বাং উ- রি দক্ষিণ কোরিয়া ও কোরিয়ার বাইরের বিভিন্ন দেশের দর্শকদের প্রতিক্রিয়ায় দারুণভাবে উচ্ছ্বসিত। দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা উনহাপকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই নির্মাতা জানিয়েছেন, কিশোর-কিশোরীদের প্রেমের গল্প তুলে আনতে চেয়েছি আমি কোরিয়ান সংস্কৃতির আলোকে।
সিনেমার অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিয়্যুন উ -সিয়োক, পার্ক জুং- উসহ ছাড়াও আরও অনেকে। সিনেমাটি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে ২১ অক্টোবর। এর আগে বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এই সিনেমাটি আমন্ত্রিত হয়েছিল অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে।
এস আর