বৃহস্পতিবার,

২৮ মার্চ ২০২৪,

১৪ চৈত্র ১৪৩০

বৃহস্পতিবার,

২৮ মার্চ ২০২৪,

১৪ চৈত্র ১৪৩০

Radio Today News

স্মৃতিতে রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ

‘চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়’

ইবনে আর রহমান

প্রকাশিত: ০১:৪৬, ২৩ জুন ২০২১

আপডেট: ০৫:৪৬, ১ জুলাই ২০২১

Google News
‘চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়’

রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ

আশির দশকে প্রতিবাদী রোমান্টিক কবি হিসেবে তাঁর ছিলো ঈর্ষণীয় জনপ্রিয়তা। ‘বাতাসে লাশের গন্ধ’ খ্যাত এই কবি স্বাধীনতা উত্তর দেশের সব গণআন্দোলনেও রেখেছেন ঐতিহাসিক ভূমিকা। তিনি তারুণ্য ও সংগ্রামের মূর্ত প্রতীক রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ।

রুদ্র’র গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটে হলেও, বাবার কর্মসূত্রে জন্ম ও শৈশব কেটেছে বরিশালে। ঢাকা ওয়েস্ট এ্যান্ড হাইস্কুল থেকে ১৯৭৪ সালে মাধ্যমিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন তিনি। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের বাংলা বিভাগ থেকে বিএ শেষ করার পর এম এ করেন ১৯৮৩ সালে।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, দেশাত্ববোধ গণআন্দোলন এবং অসাম্প্রদায়িকতার ব্যাপারে তার কন্ঠ ছিল উচ্চকিত। স্বল্পায়ূ জীবনে রুদ্র, উপদ্রুত উপকূল, ফিরে পাই স্বর্ণগ্রাম, মানুষের মানচিত্র, ছোবল এবং দিয়েছিলে সব আকাশসহ সাতটি কাব্যগ্রন্থের পাশাপাশি লিখেছেন ,সোনালী শিশির ও বিষবৃক্ষের বীজ নামক ছোটগল্প এবং নাট্যকাব্য। 

এন্ড্রু কিশোরের গাওয়া ‘ভালো আছি ভালো থেকো’ শিরোনামের গানটির গীতিকবি তিনি। ধারণা করা হয়, প্রাক্তণ স্ত্রী আলোচিত-সমালোচিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে নিয়ে তিনি এই গানটি রচনা করেন। সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য ১৯৮০ সালে মুনীর চৌধুরী পুরস্কার পেলেও, পরে মরনোত্তর দেয়া হয়নি কোন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। 

‘চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়’ ঘোষণা দিলেও ১৯৯১ সালের ২১শে জুন, মাত্র ৩৪ বছর বয়সে অন্যালোকে হারিয়ে যান রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ। আর ১৯৫৬ সালের ১৬ অক্টোবর জন্ম নেয়া প্রেম, দ্রোহ ও ভালবাসার এই কবিকে -আকাশের ঠিকানায় লেখা চিঠিতে বলছি, যেখানেই থাকো, ভালো থেকো রুদ্র।
 

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের