গ্লাডিওলাস, ছবি: মো. সিহাব আলী
সবুজ শ্যামল মাঠের বুক চিরে মেঠো পথ। পথের দুই পাশে বাঙালী খাবারের বহুল নির্ভরযোগ্য সবজি, আলুর খেত। পথ ঘেঁষে তাল গাছ আর আঁকা-বাঁকা পুকুর। হাটতে হাটতে দেখা যায় বেশিরভাগ ইট-টিনের বাড়ি। এমনই অপরুপ মায়ায় ভরা রাজশাহীর পবা উপজেলার হুজুরীপাড়া গ্রাম।
পথে যেতে যেতে বামদিকে চোখে পড়বে এক টুকরো ফুলের রাজ্য। পথ থেকে নামলেই চোখ রাঙাবে লাল রঙের জারবেরা। তারই পাশে চাষ হচ্ছে সাদা,লাল রঙের চন্দ্রমল্লিকা।
সামনে একটু এগুলেই সরু আইলের দুইপাশে দোল খাচ্ছে গোলাপ ফুল। চোখ জুড়িয়ে যায় প্রেমের সৌন্দর্য্যের প্রতীক এই লাল গোলাপে। লাল,হলুদ,সাদা, গোলাপি বাহারি রঙের গোলাপ ছড়াচ্ছে সিগ্ধতার সুবাস।
দপুর গড়িয়ে বিকেলে সূর্যের আলো পড়েছে পুকুরের পানিতে। পুকুর পাড়ের পাশে ঝরাপাতার মর্মর শব্দে ভাসে শীতের অন্যরকম অনুভুতি। মূহুর্তেই চোখ জুড়িয়ে যাবে লাল গ্লাডিওলাসের মাধুর্যে। লাল, সাদা, বেগুনি রঙের গ্লাডিওলাসের বাতাসে দোলাদুলি মনে প্রশান্তি জুড়ায়।
টুকরো এই ফুলের রাজ্যের মালিক আব্দুর রহমান ফারুক জানান,ফুলের চাহিদা থাকায় ফুল চাষ করে লাভবান হয়েছি। এই ফেব্রুয়ারি মাসেই ফুলের বাড়তি দাম পাওয়া যায়। তবে সারা বছর ফুলের নায্য দাম পেলে আরো বেশি লাভবান হতে পারব।
ফুলের সাথে প্রেম ও ভালোবাসার সম্পর্ক সুনিবিড়। তাইতো শহর-গ্রাম থেকে ছুটে আসছে ফুলপ্রেমি মানুষ। কেউ কেউ সপরিবারে, কেউ কেউ বন্ধুবান্ধবের সাথে কেউবা প্রিয়জনের সাথে।
দর্শনার্থী শাহান বেগম জানান, বিকেলবেলা ছেলে-মেয়েক নিয়ে ঘুরতে এসেছি। নানারকম ফুল দেখে খুব ভালো লাগছে।
এছাড়াও ফুল বাগানে রয়েছে পাইকারি দামে তাজা ফুল কেনার সুবিধা। বাগানিদের তৈরি এই ফুলের মুকুটে বাড়ায় নারীর সৌন্দর্য।
গ্রামের সবুজ নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য আর ফুল বাগান দেখে চোখ জুড়িয়ে যাবে যে কারও। গ্রামের সহজ-সরল মানুষ আর মায়ামাখা দৃশ্যগুলো আনবে যান্ত্রিক জীবনে মুহূর্তখানেক প্রশান্তি।
রেডিওটুডে নিউজ/এসএ