শনিবার,

২৭ জুলাই ২০২৪,

১২ শ্রাবণ ১৪৩১

শনিবার,

২৭ জুলাই ২০২৪,

১২ শ্রাবণ ১৪৩১

Radio Today News

আজ বিশ্ব বাবা দিবস

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:৫৫, ১৮ জুন ২০২৩

Google News
আজ বিশ্ব বাবা দিবস

বাবা হচ্ছেন সন্তানের অতুলনীয় পথপ্রদর্শক। বাবা মানে নিরাপদ আশ্রয়, নিশ্চিত নির্ভরতা, বাবা মানে বৃক্ষছায়া। নিখাদ ভালোবাসার সঙ্গে উচ্চারিত হয় ‘বাবা’ শব্দটি। আর সন্তানের প্রতি বাবার ভালোবাসা চিরন্তন। বাবা ও সন্তানের বন্ধন এমনই যা কোনো কিছু দিয়েই ছিন্ন করা সম্ভব নয়। পৃথিবীর সব বাবার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশে আজ রোববারবিশ্ব  বাবা দিবস। প্রতিবছর জুন মাসের তৃতীয় রোববার এ দিবস পালিত হয়।

নানা দেশের ভাষা অনুযায়ী বাবাকে নিজস্ব ভাষায় ডাকে সন্তানরা। বাংলাদেশেও বাবাকে নিয়ে আছে মধুর মধুর সম্বোধন। কেউ ডাকে আব্বা, কেউ আব্বু, কেউ বাবা, কেউ বাবু, কেউ পাপা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও তেমনই 

বাবাকে ডাকার নিজস্ব ভাষা আছে। সবচেয়ে বেশি প্রতিশব্দ বোধ হয় ইংরেজি ভাষাতেই! ইংরেজরা বাবাকে ডাকেন ফাদার, ড্যাড, ড্যাডি, পপ, পপা বা পাপা। জার্মান ভাষায় বাবাকে ডাকা হয় ‘ফ্যাট্যা’ আবার ড্যানিশরা ‘ফার’। আফ্রিকান ভাষায় ‘ভাদের’, চীনারা তাদের ভাষায় ‘বাবা’ কেটে ‘বা’ বানিয়ে নিয়েছে। ক্রি (কানাডিয়ান) ভাষায় বাবা হচ্ছেন ‘পাপা’, ক্রোয়েশিয়ায় ‘ওটেক’, ব্রাজিলে পর্তুগিজ ভাষায় ‘পাই’। ডাচ ভাষায় ‘পাপা’, ‘ভাডের’ আর ‘পাপাই’ এই তিনটি হচ্ছে বাবা ডাক। ফিলিপিনো ভাষায় বাবা হলেন ‘তাতেই’, ‘ইতেই’, ‘তেয়’ আর ‘আমা’। হিব্রু ভাষায় বাবা হচ্ছে ‘আব্বাহ’। হিন্দি ভাষায় ‘পিতাজি’, ইন্দোনেশিয়ান ভাষায় ‘বাপা’ কিংবা ‘আইয়্যাহ’, জাপানি ভাষায় ‘ওতোসান’, ‘পাপা’। পূর্ব আফ্রিকায় অবশ্য বাবাকে ‘বাবা’ বলেই ডাকা হয়। হাঙ্গেরিয়ান ভাষায় ‘পাপা’ ছাড়াও বাবা শব্দের অনেক প্রতিশব্দ আছে, যেমন ‘আপা’, ‘আপু’, 
‘এদেসাপা’। সব ধর্মে বাবার সন্তুষ্টির কথা বলা হয়েছে। ইসলাম ধর্মে আছে, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি বাবার সন্তুষ্টিতে এবং আল্লাহর অসন্তুষ্টি বাবার অসন্তুষ্টিতে নিহিত।’ সনাতন ধর্মমতে, ‘পিতা স্বর্গ, পিতাই ধর্ম, পিতাই পরম তপস্যা। পিতাকে খুশি করলে সব দেবতা খুশি হন।’

১৯০৮ সালে প্রথম বাবা দিবসের উদ্যোগ নেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমন্টে প্রথম ৫ জুলাই দিবস পালন করা হয়। এরপর ১৯৬৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসন জুনের তৃতীয় রোববারকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাবা দিবস হিসেবে নির্ধারণ করেন। ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন প্রতিবছর জাতীয়ভাবে বাবা দিবস পালনের রীতি চালু করেন।

মায়ের গুরুত্ব বেশি হলেও একটি পরিবারে বাবার গুরুত্বও কোনো অংশে কম নয়। পরিবারের প্রধানের ভূমিকায় বাবার অবদান অনস্বীকার্য। বাবার কাছে সন্তানের সব আবদার ও চাওয়া জমা হয়। দিন শেষে বাবা তার কর্মস্থল থেকে ফিরলেই সন্তান গলা ধরে আদর-সোহাগ পেতে চায়। বাবাও শত দুঃখ ও বেদনা ভুলে সন্তানকে কোলে নিয়ে চুমু খেয়ে আদর করেন। বাবার কঠোর শাসন অনেকের জীবনের গতিকে পরিবর্তন করে আলোর পথে এনেছে। তিনি যেন সন্তানের জন্য এক বটবৃক্ষ। যারা বাবাকে হারিয়েছে তারা আজ বাবাকে স্মরণ করব। আর যাদের বাবা বেঁচে আছেন প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বাবার প্রতি তাদের সম্পর্ক আরও গাঢ় হোক এমন প্রত্যাশা সবার। পৃথিবীর সব বাবার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে তাই তো কবির ভাষায় বলতে হয়, ‘বাবা’ কখনো বলা হয়নি তোমায় ঠিক কতখানি ভালোবাসি।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের