
বর্তমানে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে অনেকে ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। এ-ই জ্বর শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলকেই নাজেহাল করে ছাড়ছে। সাধারনত ৫/৭ দিন পর শরীরে ঘাম দিয়ে এই জ্বর এমনিতেই সেরে যায়।
আমাদের শরীরের তাপমাত্রা সাধারণত ৩৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট থাকে।এই তাপমাত্রা যখন ১০০ ডিগ্রি পার হয় তখন আমরা জ্বর হয়েছে বলে গন্য করি।জ্বর আরও বেড়ে ১০৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা পার করলে অবশ্যই আমাদেরকে সতর্ক হতে হবে এমনকি ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি। কারন এ-ই জ্বর স্বাভাবিক নয়। তাছাড়া আমরা জানি যেকোন রোগের উপসর্গ হলো জ্বর।
অনেকেই আছেন শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে চট করে ফার্মেসি থেকে ঔষধ নিয়ে খেয়ে ফেলি।এমনকি এন্টি বায়োটিক পর্যন্ত খায়।যা মানব শরীরের জন্য ভয়ঙ্কর স্বরুপ।এমতাবস্থায় কখনই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ খাওয়া যাবেনা।জ্বর কমাতে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ খাওয়া যেতে পারে।
তবে সহনীয় মাত্রার জ্বরে আমরা ডাক্তারের কাছে না গিয়ে কিছু ঘরোয়া উপায়ে চিকিৎসা করে সুস্থ হতে পারি।
বেশি জ্বরে পানিপট্রি: অধিক জ্বরে সেই প্রাচীন কাল থেকেই পানিপট্রি দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে যা জ্বর কমাতে দারূন ভাবে সাহায্য করে। একটি পাত্রে পানি নিয়ে পরিস্কার একটা রুমাল ভিজিয়ে রোগীর কপালে রাখতে হবে। দুমিনিট রাখার পর রুমালটি পুনরায় ভিজিয়ে কপালের উপর রাখতে হবে। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ করার পর আস্তে আস্তে শরীরের তাপমাত্রা কমে আসবে।
জ্বর কমাতে তুলসি পাতা: তুলসিপাতা শরীরের অতিরিক্ত তাপমাত্রা কমিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ৮-১০ টি তুলসীপাতা পরিস্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর একটি পাত্রে পানি গরম করে তাতে তুলসি পাতা দিয়ে ফোটাতে হবে।ভালোভাবে ফুটিয়ে এ-ই পানি প্রতিদিন সকালে এক কাপ করে খেতে হবে। তুলসি পাতায় আছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান যা জ্বর, সর্দি,কাশি,জ্বর, গলাব্যাথা,ব্রংকাইটিস ও ম্যালেরিয়ার মতো অনেক রোগের উপসমে সাহায্য করে।
জ্বর কমাতে আদার ব্যবহার: আদা হলো প্রাকৃতিক এন্টিভাইরাস। আধা চা চামচ আদা বাটা ও এক চা চামচ মধু নিতে হবে। এরপর একটি পাত্রে এক কাপ সমপরিমান পানি গরম করে তাতে আদা বাটা টা দিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিয়ে তার সঙ্গে মধু মেশাতে হবে।এই মিশ্রন দিনে তিন চারবার পান করতে হবে। এতে করে জ্বর কমতে থাকবে।কারন আদা শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
এস আর