
সংগৃহীত ছবি
ক্লিনিক্যাল তথ্য অনুযায়ী, টাইফয়েডের লক্ষণ এবং উপসর্গ গুলোর বেশির ভাগই খুবই ধীরে ধীরে শরীরে উপস্থিত হতে শুরু করে। টাইফয়েড হওয়ার সাথে সাথেই বোঝা যায় না যে রোগী টাইফয়েডে আক্রান্ত টাইফয়েড এর লক্ষণসমূহ প্রকাশ পেতে অন্তত তিন সপ্তাহ লেগে যায়।
তবে কিছু কিছু উপসর্গ দেখা গেলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যায় যে এইগুলো টাইফয়েডের লক্ষণসমূহ।
তাহলে চলুন জেনে আসি টাইফয়েডের প্রাথমিক লক্ষণগুলো সম্পর্কে:
১. ঘাম ও সাথে শুষ্ক কাশি
২. ওজন কমে যাওয়া এবং ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া
৩. শরীরের কিছু অংশ জুড়ে ফুসকুড়ি হওয়া
৪. জ্বর ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাওয়া
৫. দুর্বলতা ও ক্লান্তি ভাব
৬. কোষ্ঠকাঠিন্যতে বা ডায়রিয়াতে ভোগা।
যথাযথ সময়ে টাইফয়েডের সুচিকিৎসা না করা হলে, এর ফল ভয়াবহ হতে পারে।
টাইফয়েডে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে সুচিকিৎসার মাধ্যমে নির্ধারিত ঔষধ সেবনে দুই তিন দিনের মধ্যে লক্ষণগুলো কমতে শুরু করে। এক্ষেত্রে সুচিকিৎসার পাশাপাশি রোগীকে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম, বিশুদ্ধ পানি পান, নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং সর্বোপরি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে চলতে হবে।
আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি টাইফয়েড এর লক্ষণ সমূহ সম্পর্কে এখন চলুন জেনে আসা যাক এই টাইফয়েড প্রতিরোধে আমাদের করণীয় কি কি হতে পারে :
১. টাইফয়েড মূলত একটি পানিবাহিত রোগ হিসেবেই বিবেচ্য। তাই আপনার পান করা পানির বিষয়ে আগে নিশ্চিত হতে হবে। অবশ্য বিশুদ্ধ বা নিরাপদ পানি পান করায় আপনাকে সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।
২. অবশ্যই টাইফয়েড প্রতিরোধে আপনাকে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে চলতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে আপনার পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা , দূষিত কোন স্থান থেকে নিজেকে দূরে রাখা, এবং আপনার বসবাসরত স্থানটি সুন্দরভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
৩. টাইফয়েড প্রতিরোধে সর্বদিকে সচেতনতা অবলম্বনের পাশাপাশি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো টাইফয়েড এর টিকা গ্রহণ করা।
এস আর