
২০১৬ সালের এশিয়া কাপে ৫ উইকেটে পাকিস্তানকে হারানোর পর থেকে গত ৯ বছরে দেশের মাটিতে কিংবা দেশের বাইরে টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পায়নি বাংলাদেশ। লিটন দাস-মুস্তাফিজুর রহমানদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটাররা এই দীর্ঘ অপেক্ষার সাক্ষী ছিলেন। সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক লিটন দাস জানিয়েছিলেন, অতীত নিয়ে না ভেবে সেরা ক্রিকেট খেলেই তারা এই রেকর্ড বদলাতে চান। তার এই প্রত্যয়কে বাস্তব রূপ দিতে বেশি সময় নিলেন না বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাটিং তাণ্ডবে পাকিস্তানকে হারিয়ে দীর্ঘ ৯ বছর পর জয়ের খরা কাটিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এই জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল টাইগাররা।
রোববার (২০ জুলাই) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে বাংলাদেশ ২৮ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জয় লাভ করে। দলের জয়ে ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ৩৯ বল মোকাবেলা করে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৫৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। তার দায়িত্বশীল ব্যাটিং দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এই জয়ের আগে বাংলাদেশ সবশেষ ২০১৬ সালে মিরপুরেই এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছিল।
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান ১৯.৩ ওভারে মাত্র ১১০ রানে অলআউট হয়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন ওপেনার ফখর জামান এবং ২২ রান করেন আব্বাস আফ্রিদি। বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন আহমেদ ৩.৩ ওভারে ২২ রানে ৩ উইকেট নেন। এছাড়া, মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে রেকর্ড গড়েন।
১১২ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ শুরুতেই বিপাকে পড়ে। ইনিংসের প্রথম ওভারেই বাঁহাতি পেসার সালাম মিরাজের বলে ৪ বলে ১ রান করে আউট হন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। এরপর একই বোলারের বলে ৪ বলে মাত্র ১ রান করে ফেরেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। এতে ২.২ ওভারে মাত্র ৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
এরপর দলের হাল ধরেন তাওহিদ হৃদয় ও পারভেজ হোসেন ইমন। তারা ৬২ বলে ৭৩ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের দুয়ারে নিয়ে যান। তাওহিদ হৃদয় ৩৭ বলে দুই চার ও দুই ছক্কায় ৩৬ রান করে আউট হন। শেষ পর্যন্ত জাকের আলি অনিককে সঙ্গে নিয়ে পারভেজ হোসেন ইমন দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম