![ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সফলে জনগণের অংশগ্রহণ জরুরি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সফলে জনগণের অংশগ্রহণ জরুরি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী](https://www.radiotodaynews.com/media/imgAll/2023May/health-minister-B-2406011721.jpg)
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, স্বল্প সময়ে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ক্যাম্পেইনকে সফল করতে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত জরুরি, তা না হলে এ কার্যক্রম সফল হবে না। আর তা নিশ্চিত করতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি গণমাধ্যমের সহযোগিতা প্রয়োজন। এটি সফল করতে জাতিকে অন্ধত্ব ও অপুষ্টির হাত থেকে রক্ষা করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছি। আর ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পর্যালোচনার জন্য ক্যাম্পেইনের দিন প্রতিটি উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে।
আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান (নিপসম) অডিটোরিয়ামে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার স্বাস্থ্যখাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ফলে দেশে অপুষ্টির হার কমেছে এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। শুধু দেশেই নয়, বিশ্ব নেতৃত্বের পুষ্টি ফোরামের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ সারা বিশ্বের পুষ্টি পরিস্থিতি উন্নয়নে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরবর্তী সময়ে অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুদের মাঝে রাতকানা রোগের হার ছিল ৪ দশমিক ১০ শতাংশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে রাতকানা রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রম গ্রহণ করে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু করেন। পরবর্তীতে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখা হয়। ফলে বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবজনিত রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে।
জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের সফলতা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বছরে ২ বার শতকরা ৯৮ ভাগ শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর ফলে ভিটামিন ‘এ’ অভাবজনিত অন্ধত্বের হার শতকরা ১ ভাগের নিচে কমে এসেছে। শিশু মৃত্যুর হারও কমেছে। এই সাফল্য ধরে রাখতে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো চলমান রাখতে হবে। সেই লক্ষ্যে আজ সারাদেশে প্রায় ২ কোটি ২২ লাখ শিশুকে ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী ইপিআই কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম