বাংলাদেশের জনগণের দোরগোড়ায় উন্নত চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে চীন থেকে প্রথম মোবাইল সার্জিক্যাল ভেহিকেল আগামী মাসেই বাংলাদেশে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
মঙ্গলবার ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চীন–বাংলাদেশ যৌথ কার্ডিওভাসকুলার ক্লিনিকের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। আগামী বছর আরও বেশি চীনা চিকিৎসক বাংলাদেশে কাজ করবেন এবং ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসা বা টিসিএম বাংলাদেশেও বিস্তৃত হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।
এনআইসিভিডি, চীনের ফুওয়াই ইয়ুননান হাসপাতাল, দুই দেশের সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সব অংশীদারদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘এটি শুধু একটি নতুন চিকিৎসা প্রকল্পের উদ্বোধন নয়, চীন ও বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার একটি বড় সাফল্য।’
চীন–বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছরের যাত্রার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, রাজনৈতিক বিশ্বাস, অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব এবং জনগণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দুই দেশের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করেছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ২০২৩ সাল থেকে ফুওয়াই ইয়ুননান হাসপাতাল এবং এনআইসিভিডি একসঙ্গে কাজ করে শতাধিক জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত বাংলাদেশি শিশুকে স্ক্রিনিং ও চিকিৎসা দিয়েছে। পাশাপাশি ১৫০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি চিকিৎসককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যা চীন–বাংলাদেশ মেডিকেল সহযোগিতার দৃষ্টান্ত।
রাষ্ট্রদূত আরও জানান, বাংলাদেশে একটি এক হাজার শয্যার অত্যাধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে চীনের।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে হেলথ সিল্ক রোড গড়ে তুলতে চাই, যা দুই দেশের জনগণের জন্য আরও কল্যাণ বয়ে আনবে।’
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

